পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেদিনীপুরের ইতিহাস । לשמכי পুর বা আধুনিক দাতন পরগণার উত্তরে অবস্থিত কেশিয়াড়ি, গগনেশ্বর প্রভৃতি পরগণ পুরাতন কাগজপত্রে বাগভূম নামে পরিচিত। জনশ্রুতি-প্রাচীনকালে ঐ প্রদেশ বাগ-নামক জনৈক অনাৰ্য্যজাতীয় রাজার অধিকৃত ছিল। অদ্যাপি ঐ প্রদেশের স্থানে স্থানে কয়েকটি পুরাতন পুষ্করিণী বাগবংশীয় রাজাদের কীৰ্ত্তিচিহ্ন বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়া থাকে। এই বাগভূমের সহিত ব্যাস্তুরাজের অধিকৃত ভূভাগের অবস্থানের ঐক্য দেখিয়া মনে হয়, খোদিত লিপিতে উল্লিখিত ব্যাস্ত্ররাজ ও বাগভূমের বাগরাজা একই ব্যক্তি ছিলেন। বাগভূম-প্রদেশের স্থানে স্থানে এখনও নিবিড় জঙ্গল বিদ্যমান। প্রাচীনকালে মগধ হইতে উৎকল-গমনের পথটি এই বাগভূম-প্রদেশের মধ্য দিয়া গিয়াছিল ; এখনও তাহার চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় । বৌদ্ধ-ধর্থের প্রভাব মন্দীভূত হইতে আরম্ভ হইলে, উড়িয়ায় শৈব-ধৰ্ম্ম বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিল। খৃষ্ঠায় অষ্টম শতাব্দী হইতে একাদশ শতাব্দী পর্যন্ত শৈবধৰ্ম্মাবলম্বী উৎকলের কেশরিবংশ উৎকর্লের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত কেশরিবংশ । ছিলেন। উৎকলের প্রাচীন গ্রন্থাদিতে দেখা যায়, তাহারা তাহাদের রাজধানী ভুবনেশ্বর বা একাম্রকাননকে প্রকৃত শিবক্ষেত্র করিবার নিমিত্ত তথায় কোট বা উনকোট শিবলিঙ্গ স্থাপন করিয়াছিলেন। মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে অদ্যাপি যে সকল প্রাচীন শিবলিঙ্গ দৃষ্ট হয়, তৎসমুদ্বয়ের অধিকাংশই যে ঐ কেশরিবংশীয়দিগের রাজত্বকালেই প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহা বলা যাইতে পারে। কেশরিবংশের অধঃপতনের পর উৎকলে গজবংশের অধিকার আরম্ভ হয়। তবে কেশরিবংশের রাজত্বের শেষভাগে তাহাদের দুৰ্ব্বলতার সুযোগ পাইয়া উৎকলের সীমান্তে স্থানে স্থানে কয়েকটি