পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చిe মেদিনীপুরের ইতিহাস । পুরুষানুক্রমেই নিয়োজিত হইতেন। গোপীনাথ পট্টনায়েকের পূর্বপুরুষগণও ঐ পদে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন বলিয়া অনুমান হয়। পররর্তী অধ্যায়ে হিজলীরাজ্য-প্রসঙ্গে সে বিষয় পুনরায় আলোচিত হইবে। নারায়ণপুর ও নারায়ণগড় একই স্থান, সে কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। ঐ প্রদেশে “নারায়ণগড় রাজবংশ’ নামে একটি প্রাচীন রাজবংশের বাস ছিল । বিগত শতাব্দীতে ঐ বংশের লোপ হইয়াছে। ঐ বংশের কুলাখ্যান পত্রিকায় ক্রমাস্বয়ে ছাব্বিশ জনের নাম আছে। প্রথম ব্যক্তি গন্ধৰ্ব্ব পাল ৬৭১ বঙ্গাব্দে (১২৬৪ খৃঃ অঃ) উৎকলাধিপতি কর্তৃক ‘শ্রীচন্দন উপাধিতে ভূষিত হইয়৷ সেই প্রদেশে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। অতঃপর তাহার উত্তরপুরুষগণও সেই প্রদেশে আধিপত্য করেন। মুসলমান ও ইংরেজ রাজত্বে ঐ বংশ নারায়ণগড়ের জমিদার নামে পরিচিত ছিলেন। প্রথম অধ্যায়ে আলোচনা করিয়াছি, আমাদের অনুমান, এখনকার সবঙ্গ থানার ভূভাগ লইয়াই সেকালে জোলিতি দণ্ডপাঠ গঠিত ছিল ; সবঙ্গ, ময়না, বালিগীত প্রভৃতি জৌলিতি গুণাঠ ও স্থান ঐ ভূভাগের অস্তুভূত। খৃষ্টীয় ষোড়শ কালিমীরাম সাৰম্ভ } শতাব্দীর মধ্যভাগ হইতে ‘ময়নাগড়ের রাজবংশ নামে একটি জমিদার-বংশ ময়নাগড়ে প্রতিষ্ঠিত আছেন। রাজা গোবদ্বনানন্দ বাহুবলেঞ্জ ঐ বংশের প্রতিষ্ঠাতা। উষ্ঠাদের কুলাখ্যান-পত্ৰ হইতে জানা যায় যে, গোবৰ্দ্ধনানন্দের পূর্বপুরুষগণ বালিগীতাগড়ে বাস করিতেন এবং তত্তংস্থানের অধিপতিরূপে পরিচিত ছিলেন । উৎকলাধিপতি কর্তৃক তাহারা সামন্ত' উপাধিতে ভূষিত হন। ঐ বংশের প্রথম সামস্তের নাম কালিন্দীরাম। তৎপরে যথাক্রমে নারায়ণপুর দণ্ডপাঠ ও গন্ধৰ্ব্ব পাল ।