পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুসলমান-অধিকার-পাঠান রাজত্ব। '&'); হইতে উক্ত বিবরণ সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। উক্ত সেবাইৎদিগের মতে মসৃনদ-ই-আলীর বংশ ঐশ্বরিক শক্তি-সম্পন্ন ছিল। র্তাহারা তাজ খাঁর সম্বন্ধে নানা প্রকার অদ্ভুত অদ্ভুত অলৌকিক কাহিনীর অবতারণা করিয়া থাকেন। এরূপ অবস্থায় কোন হিন্দু কর্তৃক যে ঈদৃশ পরিবারের উচ্ছেদসাধন হইয়াছিল, সে কথা বলিলে তাহাদের আর সে অলৌকিকত্ব থাকে না। এই কারণে র্তাহার প্রতাপ- . দিতা কর্তৃক ঐ বংশের উচ্ছেদের কাহিনী স্বীকার করেন না। এমন কি, পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি, যে রাজসৈন্যের ভয়ে তাজ খাঁ আত্মহত্য করিতে বাধ্য হন, বাহাদুর র্থ বা ঈশা খাঁ রাজ্যচু্যত হন, যথেষ্ট প্রমাণ সত্ত্বেও সে রাজসৈন্যকে তাহারা হিন্দু রাজার সৈন্য বলিয়াও স্বীকার করেন না। এই জন্যই ক্রোমেলীন সাহেবের লিখিত বিবরণে প্রতাপদিত্যের হিজলী-জয়ের কোন কথা নাই। কিন্তু ঐ সময়ের আরও দশ বৎসর পূৰ্ব্বে লিখিত (১৮৩২ খৃষ্টাব্দ) রামরাম বস্তু মহাশয়ের ‘প্রতাপাদিত্য’ নামক গ্রন্থে উহার উল্লেখ আছে। তখনও ঐ কথা , প্রচলিত ছিল বলিয়াই তিনি স্বীয় গ্রন্থে উহ। লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে লিখিত প্রতাপাদিত্য-চরিত্র নামক গ্রন্থে হরিশ্চন্দ্র তর্কালঙ্কার মহাশয়ও ঐ কথার প্রতিধ্বনি করিয়াছেন । প্রতাপাদিত্যের জীবনী-লেখক সত্যচরণ শাস্ত্রী মহাশয় ও কলিকাতার ইতিহাস-রচয়িতা শ্ৰীযুক্ত হরিসাধন মুখোপাধ্যায়-প্রমুখ লেখকগণও স্বীকার করেন যে, হিজলীর ঈশা খাই প্রতাপাদিত্য কর্তৃক পরাজিত হন এবং তাহার নিকটেই রাঘব রায় আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন। জনশ্রুতিও ঐরূপ। কশবা হিজলীর পার্শ্ববৰ্ত্তা রগুলপুর নদীর পরপারে যে স্থানে প্রতাপাদিত্যের রণতরী-সমূহ সজ্জিত হইয়াছিল, তাহা অদ্যাপি প্রতাপপুর-ঘাট' নামে পরিচিত। ঐ স্থানে প্রতাপ