পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»ፃፅ মেদিনীপুরের ইতিহাস । প্রত্যেক মহালের শাসন-সংরক্ষণ ও রাজস্ব-আদায় প্রভৃতি কার্য্যের ভার এক এক জন জমিদারের হন্তে ন্যস্ত হইয়াছিল। পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে, রাজা তোডরমল্প প্রাচীন দস্তুপাঠ বিভাগগুলির ভাঙ্গা-গড়া - করিয়াই মহালগুলি গঠিত করিয়াছিলেন । এই :ে"ণ কারণে দেখা যায়, কোন কোন মহালে পুরোক্ত অৰ্দ্ধ-স্বাধীন প্রাচীন দেশাধিপতিগণের বংশধরগণই নবগঠিত মহালগুলির জমিদাররূপে স্বীয় স্বীয় অধিকারমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। যে সকল দেশাধিপতিগণ মোগল-সম্রাটের বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছিলেন, তাহাদিগকে বোধ হয় বিতাড়িত করা হইয়াছিল। মোগল-শাসনে পাঠান-রাজত্বের দুৰ্ব্বলতা ছিল না । এই জন্য জমিদারগণ বুঝিয়াছিলেন যে, এখন আর র্তাহাদের পূর্বের মত যথেচ্ছাচার চলিবে না। তাই তাহারা ঐ সময় হইতে বিশেষ সংযত হইয়া চলিতে আরম্ভ করেন । জমিদারী সনন্দ-দীনের প্রথা মোগল-রাজত্বেই প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। নূতন জমিদারী পত্তন হইলে জমিদারকে সনদের নিয়ম-পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হইতে হইত। যথেচ্ছ জমিদারীর উচ্ছেদে মোগল-বাসাহের আইন-সঙ্গত ক্ষমতা থাকিলেও দেশাচার অনুসারে কোন জমিদারের লোকান্তর হইলে পর প্রায়ই র্তাহার উত্তরাধিকারীরাই জমিদারী পাইতেন; কিন্তু তাহাদিগকে নুতন সনদ লইতে হইত। বিদ্রোহ বা রাজস্বদানে চির-শৈথিল্যই উৎখাতের সর্বপ্রধান কারণ ছিল। তবে স্ববাদার প্রসন্ন না থাকিলে সময় সময়ও জমিদার অন্তের হন্তে চলিয়া যাইত। প্রজাপালন করিয়া ও মহালের সরহন্ধ বজায় রাখিয়া, ক্ষেত্রের উৎপাদিকা শক্তি ৰঞ্জিত হইয়া বাছাতে প্রাপ্য রাজকর রীতিমত আদায় ও সরকারে দাখিল হয়, তাহাই জমিদারের প্রধান