পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 4b, মেদিনীপুরের ইতিহাস। পাদার অন্তর্গত ছিল। রাজা তোডরমল্লের রাজস্ব-বিভাগের সময় এই দওপাঠটি বগড়ী, ব্রাহ্মণভূম, মেদিনীপুর, খড়গপুর, দ্বারশরভূম ও বারিপাদ নামে ছয়টি মহালে বিভক্ত হইয়াছিল, দেখা যায়। বর্তমান কেশিয়াড়ী নামক পরগণাটি দ্বারশরভূম মহালের অন্তর্ভূত। ঐ স্থানের সুপ্রসিদ্ধ সৰ্ব্বমঙ্গল দেবীর মন্দিরগাত্রে ও মন্দির-অভ্যন্তরস্থ ‘বিজরমঙ্গলা যুক্তির পাদপীঠে সংলগ্ন উড়িয়া ভাষায় লিখিত শিলালিপি পাঠে জানা যায় যে, ঐ ভূভাগে রঘুনাথ ভূঞা নামক জনৈক জমিদার ছিলেন। তাহার পুত্র চক্ৰধর ভূঞা ১৫২৬ শকাব্দে ( ১৬০৪ খৃষ্টাব্দে ) মহারাজ মানসিংহের তিন অঙ্কে সোমবারে দেবীমন্দির ও জগমোহন প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন । সৰ্ব্বমঙ্গলা দেবী বহুকাল হইতে এ প্রদেশে প্রতিষ্ঠিত আছেন। জনশ্রুতি, মহারাজ মানসিংহ যখন উড়িষ্যা-বিজয়ে আসিয়া ঐ প্রদেশে অবস্থান করিতেছিলেন, সেই সমর তিনি ঐ প্রাচীন দেবীমূৰ্ত্তির মুগঠিত ভক্তিতাবোদীপক মুন্দর মূৰ্ত্তি দর্শনে আকৃষ্ট হইয়৷ তৎকালীন জমিদার চক্ৰধর ভুঞাকে মন্দির প্রস্তুত করিবার আদেশ দেন এবং কতকাংশ ভূভাগ দেবীর সেবা-পূজার ব্যয়ের জন্য প্রদান করেন । এই ভুঞাবংশ সম্বন্ধে আর বিশেষ কিছুই জানা যায় নাই। ইহঁদের সহিত দ্বারশরভূম মহালের প্রাচীন জমিদার-বংশের কোন সম্বন্ধ ছিল কি না, বলা যায় না। কেহ কেহ বলেন, সাতরা গ্রামের বর্তমান জমিদারবংশ পূৰ্ব্বোক্ত চক্ৰধর ভুঞার অধস্তন পুরুষ । জলেশ্বর, গগনাপুর, রাইন, করোই বা কেরোঁলী মহালের কোন জমিদারের নাম পাওয়া যায় নাই। আইন-ই-আকবরীতে দেখা যায়, বাজার মহালটির পরিসাণ-ফল অতি সামান্তই ছিল, কিন্তু সেই তুলনায় Tশ কেশিয়াড়ী-নযুক্ত রাধানাৰ পতি বি.এল প্রণীত।