পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুসলমান-অধিকার—মোগল-রাজত্ব। జty: রাজা এক্ষণে আমাদিগের অতুগত ও বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী সহ সম্মুখে নীত হইয়াছেন ; তাহার বিশ্বস্ততা ও ন্যায়পরতার বিষয় যাহা অবগত হওয়া গেল, তদ্ধার সন্তুষ্ট হইয়া পূৰ্ব্বোক্ত জমিদারী এবং নানুকর প্রভৃতি প্রত্যৰ্পণ করা হইল। আপনাদিগকে আদেশ করা যাইতেছে, রাজাকে উক্ত স্থানের ভূম্যধিকারী স্বীকার করিয়া প্রচলিত প্রথানুসারে তালকে রাজস্থাদি ভোগদখল করিতে দিবেন। তাহার স্বত্বলভোর কোনরূপ পরিবর্তন না হয়। প্রাগুক্ত জমিদারের কৰ্ত্তব্য এই যে, তিনি রাজকীয় পরিমিতব্যয় এবং প্রজাদিগের মঙ্গলের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখেন। বিশ্বস্ততা রক্ষার জন্য বিশেষ মনোযোগী হন। অপিচু, উক্ত স্থানের লোকসংখ্যা এবং প্রজাসমূহের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য-বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করেন।” * মেদিনীপুর সহরের অন্তর্গত নরমপুর পল্লীতে একটি অসম্পূর্ণ মসজীদ দৃষ্ট হয়। জনশ্রুতি, যে সময় সাহাঙ্গাদা খোরাম দক্ষিণাত্যে ফিরিয়া যাইতেছিলেন, সেই সময় তাহাকে একཨཱ་ཨཱཿ দিন মেদিনীপুরে অবস্থান করিতে হইয়াছিল । সেই দিবস মুসলমানদিগের ইঙ্গ পৰ্ব্ব থাকায় এক দিনের মধ্যেই সাহাঙ্গাদার উপাসনার জন্য ঐ মসূঞ্জীদটি নিৰ্ম্মিত হয়। কিন্তু এত অল্পসময়ের মধ্যে উহা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হইতে পারে নাই। তিনি পরদিন প্রাতঃকালে সমভিব্যাহারী ওমরাহগণ সহ সেই অসম্পূর্ণ মসঙ্গীদে নামাজ করিয়াছিলেন। সাজাহানের মেদিনাপুর আগমনের স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ অদ্যাবধি ঐ মসূঙ্গীদটিকে সেইরূপ অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই রাখা হইয়াছে। কেহ কেহ বলেন যে, ঐ মসীহট সাজাহানের নয়, সম্রাট ঔরঙ্গজেবের উপাসনার জন্ত এক রাত্রির মধ্যে • নারায়ণগড় রাজবংশ-ত্ৰৈলোক্যখি গাল—পৃঃ ১৯। --حاچ