পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పినెఫి - মেদিনীপুরের ইতিহাস । ঔরঙ্গজেবের নিকট হইতে ফাৰ্ম্মান গ্রহণের আদেশ দিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গার মধ্যস্থিত কোন দ্বীপ অধিকারের অনুমতি, হিজলীতে দুর্গ নিৰ্ম্মাণ এবং ভবিষ্মতে নবাব বা তাহার কৰ্ম্মচারিবর্গ যাহাতে ইংরাজ কোম্পানীর উপর অত্যাচার করিতে না পারে,তাহার আদেশ-প্রদানের ব্যবস্থা করিতেও গবর্ণর আদিষ্ট হইলেন। আদেশ-প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে তাহারা সৈন্ত-প্রেরণেরও বন্দোবস্ত করিলেন ; কাপ্টেন নিকলুসনের অধীনে দশখানি যুদ্ধ-জাহাজ প্রেরিত হইল। প্রত্যেক জাহাজে দশ বারটি করিয়া কামান ও ছয়শত করিয়া সৈনিক ছিল । "ইতিমধ্যে চার্ণক নবাবের আদেশে ইংরাজগণকে দেশ হইতে বিতাড়িত করা হইবে সংবাদ পাইয়া এবং কোম্পানীর ডিরেক্টারগণও মোগলদিগের সহিত যুদ্ধ করিতে মনস্থ করিয়াছেন অবগত হইয়া সমাগত রণপোত ও ইংরাজ সৈঙ্গের সাহায্যে ১৬৮৬ খৃষ্টাব্দের ২৮শে অক্টোবর নবাবের তিন সহস্র পদাতিক ও তিন শত অশ্বারোহীকে বিতাড়িত করিয়া হুগলীর ফৌজদারকে পরাভূত করিলেন। ফৌজদার এই ব্যাপারে ভীত হইয়া সন্ধির প্রস্তাব করিতে বাধ্য হন এবং চার্ণকও সেই প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। ইহার পরেই বাঙ্গালার নবাবের সহিত ইংরাজের বিপদূ-নাটকের এক অঙ্ক মেদিনীপুরের রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হয়। হুগলী-যুদ্ধের পর হুগলী নদীর উপর ইংরাজদিগের কর্তৃত্ব যথেষ্ট বাড়িয়া যায় ; ইংরাজদিগের রণপোত সমূহ একপ্রকার সমগ্র হুগলী নদী অধিকার করিয়৷ রাখিয়াছিল। কিন্তু নদীর পার্শ্ববর্তী যুদ্ধোপযোগী তেমন কোন স্থান তাহাদের অধিকারে ছিল না। বাঙ্গালার নবাব সায়েন্ত ধী প্রথমে ইংরাজদিগের ক্ষতিপূরণ করিবার জন্য প্রতিশ্রুত হইয়াছিলেন ; চার্ণক সেই আশাতেই স্থতামুটিতে অপেক্ষা করিতেছিলেন। কিন্তু ইহার