পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুসলমান-অধিকার—মোগল-রাজত্ব। מגל* ছিলেন ; সুতরাং বিশাল মোগল-সাম্রাজ্য অন্তঃসার শূন্ত হইয়া পড়িতেছিল। চতুর্দিকে ক্রমে বিদ্রোহ ও বিপ্লবের স্বচনা দৃষ্ট হইতেছিল । বঙ্গদেশে সেকালের বিদ্রোহের অধিনায়ক মেদিনীপুর জেলার অন্তঃৰ্গত চিতুয়া, বরদা পরগণার এক সামান্ত ভূম্যাধিকারী শোভা সিংহ। বৰ্দ্ধমানের জমিদার রাজা কৃষ্ণরাম রায়ের সহিত বিবাদ উপলক্ষে অস্ত্ৰধারণ করিয়া ১৬৯৫-৯৬ খৃষ্টাব্দে তিনি এই বিদ্রোহ-বহ্নি প্রজ্বলিত করেন। শোভা সিংহ উড়িষ্যা হইতে তদানীন্তন পাঠান-দলপতি রহিম খাকে সাহায্যার্থে আহ্বান করিলেন। রহিম সানন্দে অনুচরবর্গসহ বিদ্রোহে যোগ দিলেন। * ইহার পর উভয়ে মিলিত হইয়া বাঙ্গালার মোগল অধিকার উচ্ছেদে অগ্রসর হইলেন। রহিম ও শোভা সিংহের বিদ্রোহী সৈন্য বৰ্দ্ধমানের দিকে অগ্রসর হইলে, দুঃসাহসিক কৃষ্ণরাম রায় তাহার সামান্ত সৈন্যদল সহ অসখ্য বিদ্রোহী সেনার সম্মুখীন হইলেন। কৃষ্ণরামকে নিহত করিয়া বিদ্রো হীরা রাজপ্রাসাদ অধিকার করিল। রাজপরিবারবর্গ কারারুদ্ধ হইলেন। কৃষ্ণরামের জ্যেষ্ঠপুত্ৰ জগতরাম রায় কোনপ্রকারে পলায়ন করিলেন। বিদ্রোহিগণের এই প্রথম বিজয়-ঘোষণা প্রচারিত হইলে চতুর্দিক হইতে দুষ্ট ও বিপ্লবপ্রিয় যুদ্ধ ব্যবসায়ী জনগণ তাহাজের দল পুষ্ট করিতে লাগিল। তাহাজের আক্ষালন ও উপত্ৰবে চারিদিকে হুলুস্কুল পড়িয়া গেল। জগতরাম ঢাকায় ঘাইপ্পা নবাব ইব্রাহিম খাকে সমস্ত বিষয় জ্ঞাপন করিলেন। ইব্রাহিম যুদ্ধ বিষয়ে অনভিজ্ঞ শান্তিপ্রিয় লোক ছিলেন। তিনি এই তালুকদার বিদ্রোহ সামান্ত ঘটনা মনে করিয়া নূরউল্লা খার উপর বিদ্রোহ দমনের জন্ত এক পরওয়ানা জারি করিয়াই নিশ্চিৰ থাকিলেন। নূরউল্লা ধী তৎকালে যশোহর,

  • वjवांनात्र ऐछिशन-मषारी-श्रादज-१: ९९ ।। ~