পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুসলমান-অধিকার—মোগল-রাজত্ব। ఇత3 কৰা উল্লিষিত হইয়াছে। মুর্শিদকুলীর সময়ে বাঙ্গালার জমিদারদিগের বড়ই ঘুর্দিন গিয়াছিল। খাজনা আদায়ই তাহার প্রধান লক্ষ্য ছিল এবং তজ্জন্য তিনি নানাবিধ অত্যাচার করিতেন। যে জমিদার খাজনা দিতে দেরী করিত, সে মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিলে তাহাকে খাজনার জন্য তত পীড়াপীড়ি করা হইত না-অন্যথায় তাহার দুর্দশার সীমা থাকিত না। হিন্দুর ছেলে হইলেও মুর্শিদকুলী খাঁ গোড়া মুসলমান ছিলেন। তিনি হিন্দুর অনেক দেব-মন্দির ধ্বংস করিয়াছিলেন। র্তাহার সময়ে জমিদারদিগের ক্ষমতা অনেক হ্রাস হইয়া গিয়াছিল এবং জমিদারী বন্দোবস্তের কয়েকটি নুতন ব্যবস্থাও হইয়াছিল। “জমিদার-বংশ” শীর্ষক অধ্যায়ে আমরা সে কথার বিস্তারিত আলোচনা করিষ। মুর্শিদকুলী খাঁ শাসন ও বিচার প্রথারও নুতন ব্যবস্থা করিয়াছিলেন । - মোগল শাসনের পূৰ্ব্বে প্রধান প্রধান স্থানে কাজিগণ শাসন ও বিচার উভয়বিধ কাৰ্য্য করিতেন। কিন্তু মোগল শাসনকালে ফৌজদারী প্রথার সুচারুরূপ বন্দোবস্ত হওয়ায় ফৌজদারগণ གཱ་ཡཱ་རཱ་ཝཱ་ལཱ་ཀཀ་ তখন সাধারণতঃ শাসনকাৰ্য্য ও কাঙ্গিগণ বিচার কাৰ্য্যের ভার গ্রহণ করেন। মুর্শিদকুলী খাঁ বঙ্গ রাজ্যকে যে ত্রয়োদশ চাকলায় বিভক্ত করেন, তাহার প্রত্যেক চাকলায় এক একজন ফৌজদার নিযুক্ত হইয়াছিলেন। তৎপূর্কে ফৌজদারের সংখ্যা কিছু কম ছিল। ফৌজদারগণের হস্তেই শাসনকার্ঘ্যের ভার অল্পিত হয়। র্তাহীদের অধীনে নগরে নগরে কোতোয়ালগণ ও প্রধান প্রধান গ্রামে থানাদারগণ শান্তিরক্ষায় নিযুক্ত হ’ল। তম্ভির জমিদারগণও আপন আপন জমিদারীতে শান্তিরক্ষার জন্ত আদিষ্ট হইছিলেন। ঐতিহাসিক ঐযুক্ত নিখিলমাখ রায় মহাশয় লিখিয়াছেন যে,কোতোয়াল,