পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৪ মেদিনীপুরের ইতিহাস। এই প্রদেশটিই বিশেষরূপে বর্গাদিগের অত্যাচার সহ করিয়াছিল। নবাব আলীবর্দী এই কারণে এই সীমান্ত প্রদেশగోగా টিকে সুরক্ষিত করিবার জন্ত স্বীয় জামাতা মীরজাফর খাকে পূৰ্ব্বপদ সামরিক বিভাগের দেওয়ানী ব্যতীত উড়িষ্যার নায়েবী এবং মেদিনীপুর ও হিজলীর ফৌজদারী অর্পণ করিয়া তাহাকে মেদিনীপুরেই প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। মীরজাফরের অধীনে সাত হাজার অশ্বারোহী ও বার হাজার পদাতিক ছিল। তিনি মেদিনীপুরে উপনীত হইয় প্রথমে এক দল মারহাট্টা ও বিদ্রোহী আফগানকে পরাভূত করিলেন ; তাহারা বালেশ্বরে পলায়ন করিল। কিন্তু জানোজী বহু মারহাট্ট সৈন্ত লইয়া আসিতেছেন, এই সংবাদ পাইয়। মীরজাফর আর অগ্রসর হইতে সাহসী হইলেন না ; পরন্তু বৰ্দ্ধমানে ফিরিয়া গেলেন। মারহাট্টার তাহার পশ্চাদ্ধাবন করিল। অতঃপর বর্ষাকালে জানোজী মেদিনীপুরে ফিরিয়া শিবির সংস্থাপন করিলেন। মুসলমানদিগের পরিত্যক্ত দুর্গ তাহার অধিকার ভুক্ত হইল। পর বৎসর ১৭৪৯ খৃষ্টাব্দেও তিনি মেদিনীপুরে অবস্থান করিয়াছিলেন। পরে মীর হবিবের অধীনে এক দল সৈন্ত রাখিয় তিনি । তথা হইতে নাগপুরে প্রত্যাবর্তন করেন। ঐ সময় মারহাট্টাগণ হিজলীর অন্তর্গত সাহবন্দর, ভোগরাই, জলামুঠ, পটাশপুর প্রভৃতি কয়েকটি স্থানের জমিদারগণের জমিদারী অধিকার করিয়া লইয়াছিল। হিজলী ও মেদিনীপুরের নিকটবৰ্ত্তী মারহাট্টাদিগের অধিকৃত স্থান সমূহ বালেশ্বরের মহারাষ্ট্রীয় ফৌজদারের অধীন ছিল; উক্ত ফৌজদার কটকের সুবাদারের এবং সুবাদার বেরারের রাজার অধীন ছিলেন । বর্তমান বালেশ্বর জেলার অন্তর্গত রায়বনিয়া গড়’ নামক প্রাচীন