পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-RSe মেদিনীপুরের ইতিহাস । গ্রাম সম্পূর্ণরূপে হস্তগত করিয়া লয় । মেদিনীপুর সহরের নিকটবর্তী বলরামপুর, শালবনী প্রভৃতি স্থানেও তাহার লুণ্ঠন ব্যাপারে লিপ্ত হইয়াছিল। অতঃপর চুয়াড়গণ মেদিনীপুর পরগণাতে প্রবেশ করিলে আতঙ্কতাপিত প্রজাগণ মাঠের শস্ত মাঠে রাথিয় প্রাণভয়ে কোম্পানীর সৈন্ত রক্ষিত মেদিনীপুর, আনন্দপুর প্রভৃতি স্থানে জাসিয়া আশ্রয় লইতে থাকে। মেদিনীপুর সহরের নিকটবৰ্ত্তী আবাসগড় ও কর্ণগড়ে চুয়াড়দিগের দুইটি প্রধান আডড ছিল। এই দুইটি কেন্দ্র হইতে তাহারা লুণ্ঠন কাৰ্য্যে বাহির হইত এবং ফিরিয়া লুষ্ঠিত দ্রব্যাদি বণ্টন করিয়া লইত। ঐ সময় মেদিনীপুরের তদানীন্তন কালেক্টার (Julias Mihoff) লিখিয়াছিলেন যে, অতি সামান্ত চেষ্টাতেই চুয়াড়দিগকে দমন করা যাইতে পারে এবং তাঁহা হইলে দেশে শাস্তিও স্থাপিত হয়। কিন্তু তাহার সহিত তৎকালীন জজ-ম্যাজিষ্ট্রেট গ্রেগরী সাহেবের মনোমালিন্ত থাকার দরুণই হউক অথবা মেদিনীপুরের সৈন্য সংখ্যার অল্পত বশতঃই হউক সে সময় চুয়াড়দিগকে দমন করিবার কোন চেষ্টাই হয় নাই। তাঁহাদের অত্যাচার পূর্ববৎই অবাধে চলিতে থাকে । ১৭৯৯ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে মেদিনীপুর সহরের উপকণ্ঠস্থিত কয়েকখানি গ্ৰাম লুণ্ঠন করিয়া ও জালাইরা দিয়া চুয়াড়গণ প্রচার করিতে লাগিল যে, কৃষ্ণপক্ষের অন্ধকার রঙ্গনীতে তাহার। মেদিনীপুর সহর আক্রুমণ করিবে। কালেক্টারেরও আশঙ্ক৷ ইয়াউদিগের অত্যাচার হইল, তাহার তোষাখানা লুঠিয়া লইবে । কারণ তোষাখানায় তখন মাত্র সাতাইস জন প্রহরী ছিল, আর আক্রুস্ত হইলে তাহারাও যে পলায়ন না করিয়া যুদ্ধ করিবে তাহাও সম্ভবপর ৰহে। • District Gazetteer—Midnapore—p. 42-43, wఖిఖీ:áషౌ