পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল। 을8 কালেক্টর নিরুপায় হইয়৷ ই মার্চ তারিখে বোর্ডে লিখিলেন, চুয়াড়দিগকে দমন করিবার কোন চেষ্টাই হইল না, এদিকে তাহারা প্রতিদিন প্রজাদিগের উপর নানাপ্রকার অত্যাচার করিতেছে, তাহাদের অত্যাচারে নিরীহ প্রজাবৃন্দ গ্রাম ত্যাগ করিয়া সহরে আসয় আশ্রয় লইঠেছে ; কিন্তু সেখানেও তাহারা নিশ্চিন্ত হইতে পারিতেছে না, তাহাদের অন্ন সংস্থানের উপায় বন্ধ হইয়া গিয়াছে, যাহায় বনের কাঠ কাটিয়া জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিত, তাহারাও ভয়ে বনে বাওয়া বন্ধ করিয়াছে ৷ * ১৬ই মার্চ তারিখে চুয়াড়গণ আনন্দপুর আক্রমণ করির বহু প্রজা ও দুইজন সিপাহীর প্রাণনাশ করিলে, অবশিষ্ট সিপাহীগণ মেদিনীপুরে পলাইয়া আসে। কিন্তু মেদিনীপুরও নিরাপদ ছিল না। ১৭ই মার্চ তারিখে মেদিনীপুরের কালেক্টর সাহেব কর্ণেল ডনৃকে লিখেন যে, ঐ দিন রাত্রিকালে চুয়াড়গণ কর্তৃক মেদিনীপুর সহর লুণ্ঠনের সম্ভাবনা আছে এবং সেইজন্য তিনি তোষাখানার টাকা বুরুজখানায় রাখিতে ইচ্ছা করেন। তাহার পর তাহার লিখিত ২১শে তারিখের পত্র হইতে জানা যায় যে, পূৰ্ব্বোক্ত রাত্রিতে চুয়াড়গণ মেদিনীপুর সহর দগ্ধ করিবে বলিয়াই স্থির করিয়াছিল এবং সেই সংবাদ পাইয়া সহরবাসী অনেকেই সহর ত্যাগ করিয়া স্থানাস্তরে গিয়া আশ্রয়ও লইয়াছিল ; কিন্তু কোম্পানীর দেওয়ানের চতুরতায় তাহ আর কার্য্যে পরিণত হইতে পারে নাই। তিনি প্রচার করিয়া দিয়াছিলেন যে, চুয়াড়দিগের সহর আক্রমণের সংবাদ পাইর কর্তৃপক্ষ দুই দল দেশীয় সিপাহী ও পঞ্চাশ জন ইংরাজ সৈন্ত সহরে অনিয়; রাখিয়াছেন । সেই সংবাদ পাইয়া চুয়াড়গণ মেদিনীপুর সহর লুণ্ঠন করিতে আর অগ্রসর হয়

  • District Gazetteer, Midnapore—p 42-43.

^{