পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল। ኟ¢> ভারতব্যাপী তরঙ্গ মেদিনীপুর পর্য্যন্ত পোছে । ১৮৫৭ সালের ১০ই মে বিদ্রোহী সিপাহীর মিরাট নগর ত্যাগ করিয়া দিল্লী গমন করে । সিপাহীদিগের গুপ্ত ষড়যন্ত্র এত বিস্তৃত ছিল যে, ১০ই মের অব্যবহিত পরেই একজন তেওরার ব্রাহ্মণ মেদিনীপুরস্থ রাজপুত জাতীয় সিপাহীর পণ্টনকে বিগড়াইবার চেষ্ট করে। মেদিনীপুরে যে রাজপুত জাতীয় পণ্টন ছিল তাহার নাম Shekawatee Battalion ছিল। উক্ত তেওয়ারী ব্রাহ্মণকে মেদিনীপুর স্কুলের সম্মুখে কেল্লার মাঠে ইংরাজের ফাসী দেন। একস্থানের বিদ্রোহের সংবাদের পর আর এক স্থানের বিদ্রোহের সংবাদ যেমন মেদিনীপুরে আসিতে লাগিল তেমনই মেদিনীপুরবাসী অত্যন্ত ভয়াকুল ও উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিতে লাগিল। তখনকার যে সকল কাগজে বিশেষতঃ Phoenix কাগজে ভিন্ন ভিন্ন স্থানের বিদ্রোহের যে বৃত্তান্ত প্রকাশিত হইত তাহা আমরা কি পর্য্যন্ত উৎসাহের সহিত পাঠ করিতাম তাহ বলিতে পারি না । বাঙ্গালীদের অপেক্ষা সাহেবের আরও অধিক ভীত হইয়াছিলেন । হইবারই কথা । একদিন সাহেবের ক্যান্টনমেন্টে গিয়া পিপাহীদিগকে ডাকিয়া একটা থালের উপর ধান দুৰ্ব্ব রাখিয়া প্রত্যেক সিপাহীকে তাহ৷ ছু ইয়া এই শপথ করিতে বলিলেন যে, সে বিদ্রোহী হইবে না। প্রত্যেক সিপাহী সেইরূপ করিল । কিন্তু সাহেবদের তাহাতে বিশ্বাস হইল না। জুন মাস পড়িতেই বৃষ্টি আরম্ভ হইল। মেদিনীপুরের দিকট কংসাবতী নদী গ্রীষ্মকালে শুষ্ক থাকে। বৃষ্টি পড়িলেই প্রবাহমান হয়। সাহেবের ও কোন কোন ভদ্রলোক কংসাবতী নদীতে নৌকা প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছিলেন। এই মানসে রাখিয়াছিলেন যে, যখনই বিদ্রোহ হইবে তখনই নৌকা চড়িয়া পলায়ন করিবেন। একদিন সন্ধ্যার সময় কালেক্টর সাহেব