পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল। ኟ¢ ፄ সিলের সভ্যগণের সুবিচারে হাঙ্গামা আর অধিক দূর অগ্রসর হইতে পারে নাই । ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দে ইংরাজদিগের সহিত ফরাপীদিগের প্রকাগুরূপে যুদ্ধ বাধে। কিন্তু ইহার কয়েক বৎসর পূর্ব হইতেই উহার আয়োজন ধীরে ধীরে চলিতেছিল। সেই সময়ে, ১৭৭৪ হইতে ১৭৭৮ খৃষ্টাব্দের মধ্যে, এ দেশের প্রায় সমস্ত কুঠ ফরাসীরা উঠাইয়া দেয়। কোম্পানীর কয়েকটি কুঠীও মেদিনীপুর জেলার স্থানে স্থানে প্রতিষ্ঠিত ছিল। তন্মধ্যে মেদিনীপুর সহরের থান কাপড়ের কুঠ এবং ক্ষীরপাইর বয়ন-কারখানা সমধিক প্রসিদ্ধ। কোম্পানীর রেসিডেন্টরাই ব্যবসা-বাণিজ্যেরও অধ্যক্ষরূপে ( Commercial ইষ্ট ইণ্ডিয় Agent ) ঐ সকল কুঠার কার্ষ্যাদি তত্ত্বাবধারণ কোম্পানীর কুঠী ও --- -

.'" করিতেন। ইদানীন্তনকালের ঘাটাল মহকুমা তৎকালে চাকলা বৰ্দ্ধমানের ও পরে হুগলী জেলার অন্তভুত থাকায় ক্ষীরপাই প্রভৃতি স্থানের কুঠাগুলি প্রথমে বৰ্দ্ধমানের রেসিডেন্টের এবং পরে হুগলীর অধ্যক্ষর কর্তৃত্বাধীন ছিল। এতদূব্যতীত এই জেলার অন্যান্য কুঠীগুলি তৎকালে মেদিনীপুরের রেসিডেন্টের হস্তে ছিল । রেসিডেন্ট মহাজনদিগকে রেসম ও রেসমী কাপড় এবং মুতার কাপড় সাবরাহের জন্ত দাদন দিতেন। তাহাদের নহিত চুক্তি থাকিত যে, তাহার কোম্পানী ব্যতীত অন্ত কাহাকেও ঐ সকল, দ্রব্য সরবরাহ করিতে পারিবে না এবং নির্দিষ্ট দিনে কুঠতে মাল পৌছাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবে। মহাজনেরাও আবার রেসম ও তুলার চাৰীদিগের সহিত এবং তত্ত্ববায়দিগের সঙ্গে পূৰ্ব্বোক্তরূপ চুক্তি করিয়া লইয়া নির্দিষ্ট দিনে কোম্পানীর কুঠতে মাল জোগান দিত। অতঃপর সেগুলি কুঠতে বস্তাবন্দি হইত এবং সরকারী রাজস্বের সঙ্গে সিপাহী পাহারা দিয়া কলিকাতায় চালান দেওয়া হইজ।

> ፃ