পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኟ¢ow মেদিনীপুরের ইতিহাস । কলিকাতা হইতেই সেগুলি বিক্রয় হইত বা বিক্রয়ের জন্ত দেশাস্তরে পাঠান হইত। রাধানগরের কুঠ রেসমের জন্য বিখ্যাত ছিল। তৎকালে মেদিনীপুরের রেসম অনেক স্থানেই প্রেরিত হইত। ১৭৬৮ খৃষ্টাব্দে মেদিনীপুরের তাৎকালিক রেসিডেন্ট রেসমের রপ্তানী আরও বৃদ্ধি করিবার মানসে তুত গাছের চাষের জন্য নাম মাত্র জমায় অনেক জমী বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন। ১৭৭০ খৃষ্টাব্দে কোম্পানীর ডিরেক্টরগণ ব্যবসায়ের অধিকতর উন্নতি ও কাপড়ের উৎকর্ষ-সাধন জন্য গ্রিমণ্ড (Grimand) নামক একজন বিশেষজ্ঞকে মেদিনীপুরে পাঠাইয়াছিলেন । উত্তরকালে এই সকল কারবার বিশেষ বিস্তৃত হইয়া পড়ায় রেসিডেন্টের পক্ষে উহার তত্ত্বাবধারণ করা অসুবিধাজনক হইতে থাকে। সেই কারণে ১৭৭৭ খৃষ্টাব্দে কোম্পানী একজন পৃথক কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত করিয়া র্তাহার হস্তে এই সকল কারবার ও কুঠার ভারার্পণ করেন। তিনি Commercial Resident নামে পরিচিত ছিলেন । এ প্রদেশে বহুদিবস পর্য্যন্ত কোম্পানী কারবার চালাইয়াছিলেন। পরে একে একে সমস্ত ৰু কারবারগুলি উঠাইয় দেন এবং কুঠীগুলি ছাড়িয়া দেওয়া হয়। সেই সকল কুঠার ভগ্নাবশেষ এখনও এই জেলার নানাস্থানে দৃষ্ট হয়। কোম্পানীর আমলের অনেক চিঠিপত্রেই সেকালের ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা পাওয়া যায়। কাপড়ের ব্যবসায় ব্যতীত আরও নানাপ্রকারের কারবার তৎকালে কোম্পানীর হাতে ছিল ; তন্মধ্যে হিজলীর লবণ হিজলীয় লবণ- কারবারটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। কোম্পানীর কারবার। ইহা একটি বিশেষ লাভজনক ব্যবসায় ছিল। ১৭৬৫ খৃষ্টাব্দে বঙ্গের দেওয়ানী গ্রহণের পর হইতেই হিজলীর এই লবণ কারবারে কোম্পানীর একচেটিয়া অধিকার হয়। ইংরাজ রাজত্বের