পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rby 8 মেদিনীপুরের ইতিহাস । আর যাহারা আসিয়া থাকে, তাহাদের অধিকাংশকে আদালতের নানাপ্রকার খরচের দায়ে জিনিস পত্র বন্ধুক দিয়া পরিণামে সৰ্ব্বস্বাস্ত হইয়া ফিরিয়া যাইতে হয়। আদালতের মধ্যেই এরূপ দৃপ্ত নিত্য দেখা স্বায়। বিচারাসনে বসিয়া যাহাদিগকে এরূপ দৃপ্ত দেখিতে হয়, তাহাদের নিকট উহা যেমন প্রতিকর নহে, রাজ সরকারের পক্ষেও উহা তেমন গৌরব-জনক নহে।” “প্রশ্ন ঃ—আপনার আদালতে যে সকল উকীল আছেন তাহারা কি মক্কেলের কার্য বিশেষ সম্মান ও বিশ্বাসের সহিত করিয়া থাকেন ? উত্তর –এখানকার উকীলের প্রায় সকলেই বিশেষ উপযুক্ত। তাহারা সাধারণতঃ বিশেষ বিশ্বস্ততার সহিত মক্কেলের কার্য্য করিয়া থাকেন। কোন সময়ে তাহদের কাহারও কাহারও কার্য্যে কৰ্ত্তব্য অষহেলার লক্ষণ দৃষ্ট হইলেও, কাহাকে কখনও মঞ্চেলের সহিত বিশ্বাসঘাতকতা করিতে দেখা যায় নাই ।” "প্রশ্ন :- আপনার এজলাসের মধ্যে বিচারকের, অন্যান্য রাজকৰ্ম্মচারীর, বাদী, প্রতিবাদীর বা তাহাদের উকিল ও সাক্ষীদের জন্য কোন পৃথক স্থান বা বসিবার আসন নির্দিষ্ট আছে কি এবং আদালতের কার্য্য যে সময় আরম্ভ হয় বা চলিতে থাকে সে সময় কোন বিশেষ আদব-কায়দার ব্যবস্থা আপনি করিয়াছেন কি ? উত্তর :–এজলাসের মধ্যে বিচারকই কেবল চেয়ারে বসিয়া থাকেন ; আর যদি কখনও মৌলবী উপস্থিত হ’ন তাহাকেও একখানি চেয়ার দেওয়া হয়। অবশিষ্ট সকলেই দাড়াইয়া থাকে। তবে এজলাসের সংলগ্ন অন্য যে সকল গৃহ আছে সেখানে মাদুর বা কার্পেটের বিছানার উপর বসিয়া সকলে সচ্ছন্দে গল্প-গুজব করিয়া থাকে, হুকাণ্ড চলে । আদালতে অন্ত কোন বিশেষ আদব-কায়দার ব্যবস্থা নাই; কেবল বিচারক