পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল । RᏑ ☾ আদালতে উপস্থিত হইলে সকলেই তাহাকে সন্মান প্রদর্শন করে এবং আসামী লম্বা হইয়া শুইয়া পড়ে । ইহাই এ দেশের পুরাতন প্রথা, পূৰ্ব্বাপর চলিয়া আসিতেছে, নুতন প্রবর্তিত নহে। আদালতের কার্য্য যখন চলিতে থাকে, তখন কেবল নিস্তব্ধত রক্ষা করা ব্যতীত আমি আর অন্ত কোন আদব-কায়দার ব্যবস্থা করি নাই।” "প্রশ্ন —দেশের দুষ্ট লোকদিগের অত্যাচার-অনাচার নিবারণের জন্য কোন নূতন নিয়ম বা আইন প্রবর্তিত করা আবশ্বক বলিয়া আপনি মনে করেন কি ? উত্তর –আমি এ কথা পূৰ্ব্বে অনেকবার বলিয়াছি এবং এখনও সেই মতই পোষণ করি যে, আমরা এ দেশের প্রজাসাধারণকে দমু্য তষ্করের অত্যাচার হইতে রক্ষা করিতে পারিতেছি না। অদূর ভবিষ্যতেও যে পারিব তাহার সম্ভাবনাও অল্পই আছে। এমতাবস্থায় দ্যায়, মনুষ্যত্ব ও রাজনীতির দিক দিয়া দেখিতে গেলে আমাদের কর্তব্য যে, আবস্তৃক হইলে দেশবাসীকে অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া একত্রিত হইবার অধিকার প্রদান করা । আত্মরক্ষা করিবার জন্তু তাহাদিগকে যতদূর সম্ভব সুযোগ দেওয়া উচিত। ঐ সকল অত্যাচার-অনাচার নিবারণের জন্য দেশের পুলিশের সংস্কার করাও আবখ্যক ।* পুলিশ যদি

  • “It is, my opinion, as I once before had occasion to mention to Government, that the procuring assistance of the men of property and influence in preserving the peace throughout the country, would lead to a system of Police the most efficient, the most economical, the most suitable to the habits and opinions of the people, and in all respects, the best calculated for their comfort and security.”—Fifth Report. Wol, II. p. 609.