পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&brも মেদিনীপুরের ইতিহাস । কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ ও দ্যায়পঞ্চায়ণ হয় তাহ হইলে অত্যাচার ও অনাচার সহজেই নিবারিত হইবে।” “প্রশ্ন ঃ-আপনার জেলার আহ্বমানিক লোক-সংখ্যা কত ? তন্মধ্যে হিন্দুর ও মুসলমানের সংখ্যা কিরূপ? ੰ উত্তর –আমার গণনা মতে মেদিনীপুর জেলার লোক-সংখ্যা প্রায় পনর লক্ষ । ইহায় ছয়ভাগ হিন্দু, একভাগ মুসলমান ।” 《》 “প্রশ্ন ঃ-লোক-সংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষি ও বাণিজ্যের বিস্তার, ইমারত নিৰ্ম্মাণ ইত্যাদি বিষয়ে আপনার জেলা ক্রমশঃ উন্নতি না অবনতির পথে অগ্রসয় হইতেছে এবং ইহার কারণ আপনি কি নির্দেশ করেন ? উত্তয় ঃ—এই জেলার লোক-সংখ্যা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইতেছে । সেই জন্য আবাদ-যোগ্য জঙ্গল ও অন্তান্ত পতিত ভূমিগুলি ক্রমশঃ কতি হওয়ায় দেশের কৃষিকাৰ্য্যও বিস্তার লাভ করিতেছে। ব্যবসায়-বাণিজ্যে সেরূপ উন্নতি পরিলক্ষিত না হইলেও অবনতি হয় নাই বলা যাইতে পারে। তবে দেশীয় তত্ত্ববায়দ্বিগের অবস্থা শোচনীয় হইয়াছে। নিজেদের বাসের জন্য বা দেশহিতকর ধৰ্ম্ম কার্য্যের উদ্দেহে তেমন কোন বৃহৎ অট্টালিকাদি মেদিনীপুরে নিৰ্ম্মিত হয় নাই। কয়েকটি সুবৃহৎ পুষ্করিণী খনন করা হইয়াছে। এ দেশের লোকের নিকট ইহা অত্যন্ত পুণ্য কার্য্য বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে । আমারও মনে হয়, ইহার মধ্যে স্থাপত্যের কোন নিদর্শন না থাকিলেও সাধারণ হিতকর যে সকল কাৰ্য্য আছে তন্মধ্যে ইহা সৰ্ব্বাপেক্ষা আবশ্বকায় । কিন্তু দেশের বড়লোকদিগের অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এমং অন্তান্ত কারণে ওরূপ কাৰ্য্য এখন আর বড় একটা হইতেছে না। এই জেলায় সেকালের প্রতিষ্ঠিত ঐরূপ অনেক সুবৃহৎ পুষ্করিণী দৃষ্টিগোচর হয়। 琴