পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল । ఫి సెడి “প্রশ্ন ঃ—আপনার জেলায় ইষ্টক বা মৃত্তিকা নিৰ্ম্মিত দুর্গাদি আছে কি না এবং থাকিলে সেগুলি কিরূপ অবস্থায় আছে ? উত্তর ঃ—এই জেলায় প্রস্তর ও মৃত্তিক নিৰ্ম্মিত অনেকগুলি দুর্গ আছে। সেগুলি বহুকাল পূৰ্ব্বে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। কিন্তু দু’একটি বাতিরেকে অবশিষ্ট সকলগুলিই এক্ষণে ধ্বংসের পথে । এক সময় আশ্বারোহী মারহাট্ট সৈন্তের আক্রমণ হইতে দেশ রক্ষা করিবার জন্য উহার মধ্যে কতকগুলি বিশেষ কাজে লাগিয়াছিল । সম্প্রতি বগড়ীর জঙ্গল-মহালের একটি পুরাতন দুর্গ হইতে কুড়িটি কামান মেদিনীপুর সহরে আনা হইরাছে ” “প্রশ্ন ঃ—আপনি কি মনে করেন যে, আপনার জেলার লোকেরা কোম্পানীয় রাজত্বে বৰ্ত্তমান রাজ্য-শাসন-ব্যবস্থায় তাহাদের ধন-সম্পত্তি প্রজার ধন-সম্পত্তি। নিরাপদ হইয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করে ? উত্তর ঃ – এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া যায় না । সাধারণতঃ বলা যাইতে পারে যে, এদেশের লোকের বিশ্বাস, সরকারের কৰ্ম্মচারিগণের মনে স্থায় বিচার করিবার বা দেশে মুশাসন প্রতিষ্ঠা করিবার একটা শুভ ইচ্ছা আছে ; কিন্তু সকল সময়ে ঘটনাচক্রে তাহারা উহা করিয়া উঠিতে পারেন না। যেমন চুয়াড় বা ডাকাতদের অত্যাচার হইতে জনসাধারণের ধন-সম্পত্তি রক্ষা করিবার জন্য ম্যাজিষ্ট্রেটের আস্তরিক ইচ্ছা থাকিলেও তিনি কার্য্যতঃ তাহা করিতে পারিতেছেন না। পরস্তু প্রজাস্বত্ব বিষয়ক যে সকল আইন প্রচলিত আছে, তদ্বারা রায়তদের স্বত্বও যে বিশেষ সংরক্ষিত হইয়াছে, তাহা অামার মনে হয় না। জমিদারদিগের এখনও বিশ্বাস যে, তাহদের প্রদত্ত রাজস্ব ক্রমশঃ বৃদ্ধি হইতে থাকিবে । লাখেরাজদারগণও আশঙ্কা করেন, তাহাদের ভূমির উপরও একদিন না একদিন জমা ধাৰ্য্য হইবেই। ব্যবসায়িগণও ধারণ