পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল । * ఫిని করিয়াছে। এই ব্যবস্থায় যদি কেহ অসন্তুষ্ট হয়, সে উচ্চ শ্রেণীর লোক । কিন্তু মেদিনীপুরের কেহ সেরূপ অসন্তোষের ভাব মনে পোষণ করে বলিয়া আমি মনে করি না। তবে ইহা বলা যাইতে পারে যে, দেশের লোকের উদ্যম ও সাহসের অভাব এবং তাহদের দারিদ্র্য ও অজ্ঞানতাই আমাদের গবর্ণমেণ্টকে শক্তিমান করিয়াছে। ব্যক্তিগত ভাবে কোম্পানীর কৰ্ম্মচারিদের উপর এদেশের লোকের যথেষ্ট বিশ্বাস আছে । তাহারা জানে, তাহাদের উপর নুতন কর যাহা ধাৰ্য্য করা হয় বা যাহা কিছুই করা হয়, তাহ একটা আইন করিয়াই করা হইয়া থাকে। ইহার অতিরিক্ত তাহারা আর কিছু জানে না।” ” “প্রশ্ন —আপনার জেলার মধ্যে এমন লোক কে কে আছেন র্যাহারা ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের উপর সস্তুষ্ট নহেন ? দেশের মধ্যে ঐ সকল লোকের প্রতিপত্তি কিরূপ এবং কি উপায়ে তাহাদিগকে বশীভুত করা যাইতে পারে ? উত্তর ঃ—এইরূপ শ্রেণীর কোন বিশেষ লোকের নাম আমি দিতে পারিব না। এই জেলার প্রত্যস্ত প্রদেশের কয়েকজন জমিদার মারহাট্টাদিগের সহিত বৈবাহিক স্থত্রে আবদ্ধ আছেন। ঐ সকল জমিদারের পক্ষে মারহাট্ট রাজত্ব কামনা করা সম্ভবপর হইতে পারে। জঙ্গল মহালের জমিদারগণ আইন-জ্ঞানহীন, অত্যাচারী ও কলহপ্রিয় হইলেও তাহাদিগকে রাজ-সরকার পরিবর্তনের পক্ষপাতী বলিয়া আমার মনে হয় না । দেশের ভিতরে ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের উপর অসন্তুষ্ট বদি কেহ থাকেন, আমার অনুমান, তাহার হচ্ছেন ধ্বংস প্রাপ্ত সন্ত্রান্ত মুসলমান বংশ । সাধারণতঃ র্তাহার সহরেই বাস করেন। তবে এই জেলায় এবং দেশের সকল স্থানেই নিয়শ্রেণীর এরূপ কতকগুলি লোক আছে যাহার রাজভক্তি বা রাজদ্রোহিত দুইটার কোনটারই কোন ধার ধারে