পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল । ২৯৭ দেখ দিয়াছে তাহা অনেক প্রকারেই ব্যাপক ও সুদূর বিস্তৃত। এই প্রবাহ ও প্রভাব সমগ্র মানবজাতির ভিতর একটা নুতন তত্ত্ব, নুতন সমস্তা, নূতন প্রশ্ন আনিয়া দিয়াছে। সেই সকলের মীমাংসা করাই এবং তাহীদের চরম সিদ্ধান্তে উপস্থিত হওয়াই বিংশ শতাব্দীর কাৰ্য্য । সাধারণ হিসাবে ১৮০১ সালে উনবিংশ শতাব্দীর আরম্ভ এবং ১৯০৯ সালে ঐ শতাব্দীর শেষ । কিন্তু মানবজাতির ইতিহাসে ১৮০১ বা ১৯০৯ সালের কোন বিশেষত্ব নাই। দিন আসে, দিন যায়, মাসের পর মাস, বৎসরের পর বৎসর চলিয়া যায়, সবগুলিরই কি মূল্য থাকে ? সবগুলিই কি আমরা মনে রাখি ? যে দিন, যে মাস, যে বৎসর কোন একটা বিশেষ চিন্তাপ্রবাহ বা কোনরূপ প্রভাব লইয়! আমাদের সম্মুখীন হয়, সেই দিনই একটা দিনের মত দিন, সেই মাসই একটা মাস, সেই বৎসরই একটা স্মরণীয় বর্ষ। সেই মুহূৰ্ত্ত বা সেইক্ষণ হইতে আমরা দিন গণিয়া থাকি, যুগ মাপিয়া থাকি। মানবজাতির ইতিহাসে ১৮১৫ ও ১৯১৪ এই দুইটি সাল ঐরূপ দুইটি স্মরণীয় বর্ষ। মানবজাতির ইতিহাসের উনবিংশ শতাব্দী ঐ ১৮১৫ সালে আরম্ভ ও ১৯১৪ সালে শেষ । ষেদিন ওয়ার্টালুর যুদ্ধে নেপোলিয়নের পরাজয়, যেদিন তিয়ান নগরের কংগ্রেসে ইউরোপের মানচিত্রে নূতন নুতন রাষ্ট্রীয় সীমার নির্দেশ, সেই দিন প্রাচীনের অবসান, নবীনের অভু্যদয়, উনবিংশ শতাব্দীর আরম্ভ। আর যেদিন জাৰ্ম্মেনী তাহার বিশ্বগ্রাসী ক্ষুধা লইয়া মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে, ইউরোপের বিরুদ্ধে, একপ্রকার সমগ্র সভ্য জগতের বিরুদ্ধে সন্মুখ সমরে নামিয়া সমস্ত পৃথিবীকে চঞ্চল করিয়া তুলিল, সেই দিনই ঐ শতাব্দীর শেষ । পদার্থবিজ্ঞানের বিস্তৃতি, শিল্পকারখানার আধিপত্যলাভ, ব্যবসায়