পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেদিনীপুরের ইতিহাস । چم (یہ পরগণার মাধবমূৰ্ত্তি তিনটির গঠন প্রণালী দেখিলে মোহিত হইতে হয়। ঐ সকল স্থতি চিহ্নই মেদিনীপুরের পূর্ব গরিমার ভশ্বস্তপ | উপাখ্যান বহুল বাঙ্গালাদেশে প্রায় প্রত্যেক ব্যাপারের সহিত কোন না কোন উপাখ্যানের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। মেদিনীপুরের এই সকল কীৰ্ত্তির সঙ্গেও বহুবিধ কিংবদন্তী বিজড়িত। তন্মধ্যে কতকগুলি ঐতিহাসিক, কতকগুলি পৌরাণিক ও কতকগুলি নানা প্রকার অলৌকিক কাহিনীতে পূর্ণ। সে সমুদায় বংশ পরস্পরায়ুগত অলৌকিক কাহিনীর মধ্যে কতটুকু সত্য বা মিথ্যা নিহিত আছে তাহ সামান্ত অনুসন্ধিৎসার সহিত আলোচনা করিলেই বুঝিতে পারা বায় । বিজ্ঞানসম্মত প্রণালীতে রচিত ইতিহাসে উহাদের কোন স্থান নাই ! তলে ভবিষ্যতে যদি কেহ এই সকল পৌরাণিক ও অলৌকিক কাহিনীর মধ্য হইতেও কোন ঐতিহাসিক তথ্য আবিষ্কার করিতে সমর্থ হন সেইজন্স ও পাঠকের কৌতুহল চরিতার্থ করিবার জন্য এ স্থানে সে কাহিনীগুলিও উল্লিখিত হইল । মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনীর উল্লেখ করিতে গেলে সৰ্ব্বাগ্রে তাম্রলিপ্ত বা তমলুকের কথা বলিতে হয়। ঐতিহাসিক রমাপ্রসাদ চন্দ মহাশয় লিখিয়াছেন, “তমলুক বাঙ্গালীর বিলুপ্ত মহিমাব মহাপীঠ।” এ তাম্রলিপ্ত বহুকাল হইতে বৌদ্ধ ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের নিকট হইতেই খ্যাতি লাভ করিয়া আসিতেছে । কwo১. পুরাকালে তাম্রলিপ্ত ইহুদিগেব একটি প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান ছিল । এখনও উহা একটি সিদ্ধপীঠ বলিয়া পরিগণিত হইয়া থাকে। ব্ৰহ্ম, পদ্ম, মৎস্ত ও মার্কণ্ডেয় প্রভৃতি • মেদিনীপুর সাহিত্য সম্মিলনের অষ্টম অধিবেশনের সভাপতির অভিতাষণ । মানসী,—চৈত্র, ১৪৯৭, পৃ: ১৩৭ ৷