পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । ○●● পুরাণে এবং বহু শাস্ত্রীয় গ্রন্থাদিতে তাম্রলিপ্তের নাম দৃষ্ট হয়। ব্ৰহ্মপুরাণে লিখিত আছে যে, পূৰ্ব্বকালে দেবাদিদেব মহাদেব দক্ষযজ্ঞে ব্ৰহ্মার তনয় প্রজাপতিকে নিহত করিলে পর ব্ৰহ্মহত্য বশতঃ দক্ষ শরীর বিশ্লিষ্ট মস্তক মহাদেবের পাণি সংস্থষ্ট হইয়া যায়। মহাদেব উহা কোন প্রকারেই স্বীয় করপল্লব হইতে মুক্ত করিতে না পারিয়া উহা হইতে মুক্ত হইবার আশায় তীর্থ যাত্রায় নিরত হন। কিন্তু পৃথিবীর সমস্ত তীর্থ পরিভ্রমণ করিলেও দক্ষের মস্তক তাহার হস্তচু্যত না হওয়ায় তিনি বিষ্ণুর নিকট উপস্থিত হইলে, বিষ্ণু বলেন – “অহং তে কথয়িষ্যামি যত্র নস্ততি পাতকং । তত্ৰ গত্যা ক্ষণমুক্ত পাপাস্তুর্গে ভবিষ্কৃতি ” অর্থাৎ যেখানে গমন করিলে জীব অল্পকাল মধ্যে পাপ মুক্ত হয় এবং সকল পাপ বিনষ্ট হয়, আপনাকে সে স্থানের কথা বলিব । এই বলিয়া তিনি বলিতেছেন ঃ– “অস্তি তারতবর্ষন্ত দক্ষিণস্তাং মহাপুরী তযোলিপ্তং সমাখ্যাত গুঢ়ং তীৰ্থং বরংবসেৎ। তত্রো স্নাত্বা চিরাদেব সম্যগেধূলি মৎপুরীং জগাম তীর্থ রাজস্ত দর্শনার্থং মহাশয়।” অর্থাৎ ভারতবর্ষের দক্ষিণে তমোলিপ্ত নামে মহাপুরীতে গূঢ় তীর্থ আছে । সেখানে স্নান করিলে লোকে বৈকুণ্ঠে গমন করে । অতএব আপনি তীর্থরাজের দর্শনের নিমিত্ত তথায় গমন করুন। মহাদেব ইহা শ্রবণ মাত্র তাম্রলিপ্তে উপস্থিত হইয়া বিষ্ণুর কথিত সরসী নীরে অবগাহন করিলে দক্ষ শির তাহার হস্ত হইতে বিমুক্ত হয়। সেই অবধি সেই ক্ষুদ্র সরোবৃটি "কপালমোচন" নামে অভিহিত হইতে থাকে এবং তাম্রলিপ্ত একটি প্রধান তীর্থস্থানে পরিগণিত হয় । অনেক