পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । లిe : আছে ইহাও প্রায় সেই জাতীয় । প্রভেদের মধ্যে এই যে, জগন্নাথ দেব উড়িষ্যার জঙ্গল মধ্যে প্রকাশ হওয়ায় সে দেশের লোকের মনের তাব ও আচার-ব্যবহারানুসারে একরূপ গল্প রচনা করা হইয়াছে, আর তমলুক সমুদ্রকুলবৰ্ত্তী বন্দর হওয়া প্রযুক্ত এখানকার লোকের ভাব ও স্থানের অবস্থানুসারে এখানকার গল্প অন্তরূপে স্বঃ হইয়াছে । জগন্নাথ দেব জঙ্গলের দেবতা ছিলেন, সেইজন্য তঁাহাকে এক ব্যাধের বাড়ীতে পাওয়া গিয়াছিল, আর তমলুকের বর্গভীমা দেবীকে এক ধীবরী আবিষ্কার করিয়াছিল। জগন্নাথ দেবের মূৰ্ত্তি কাষ্ঠের এবং ভীমাদেবীর মূৰ্ত্তি প্রস্তর নিৰ্ম্মিত। প্রথমতঃ উভয়কে নীচ জাতীয় লোকে গোপনে পুজা করিত, তাহার পর উহা ধনীদিগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । নুতন আবিস্কৃত দেবতাম্বরকে দেখিবার জন্য যখন বহুদূর হইতে যাত্রী আসিতে লাগিল তখন ব্রাহ্মণগণও আপনাপন পুথি বাহির করিয়া নানাপ্রকার গল্প প্রকাশ করিতে লাগিলেন । বর্গভীমা দেবীর মূৰ্ত্তি একখানি প্রস্তরে সন্মুখ ভাগ খোদিত করিয়া বাহির করা হইয়াছে। তমলুক ইতিহাস লেখক শ্ৰীযুক্ত ত্ৰৈলোক্যনাথ রক্ষিত মহাশয় লিথিয়াছেন, “এইরূপ প্রস্তরে কতকাংশ থোদিত মূৰ্ত্তি সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায় না। ইহা উগ্রতার মূৰ্ত্তির অনুরূপ। ইহার ধ্যান ও পূজাদি যোগিনী-তন্ত্র এবং নীল-তন্ত্রানুসারে হইয় থাকে।" রাজপ্রদত্ত ভূমির উপস্বত্ব হইতে ইহার সেবাদি নিৰ্ব্বাহ হয়। বর্গভীমা বহুকাল হইতে এদেশে একটি জাগ্রত দেবী বলিয়া পূজিত হইতেছেন। কথিত আছে, দুরন্ত কালাপাহাড় যখন উড়িষ্যা বিজয় বাসনায়। অগণিত যবন সৈন্য সমভিব্যাহারে এ দেশের মধ্য দিয়া যাইতেছিলেন, তখন তিনিও এই দেবীকে দর্শন করিয়া অত্যন্ত প্রত হন এবং পারসী उलांशांशू একখানি দলীল লিখিয়া দিয়া যান। সেই দলীল এখনও