পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీ) a by মেদিনীপুরের ইতিহাস। দেবীর পূজকদিগের নিকট আছে। তাহারা উহাকে বাদৃসাহঁপঞ্জ’ নামে পরিচয় দিয়া থাকেন । দুৰ্দ্দান্ত মহারাষ্ট্রীয়গণও এই দেবীকে বিশেষ ভক্তি ও শ্রদ্ধার চক্ষে দেখিতেন। যে সময় হৃদয়হীন বগীসৈন্ত নিম্নবঙ্গ লুণ্ঠনে পরিব্যাপ্ত ছিল, সে সময় তাহারাও তমলুকের কোন প্রকার অনিষ্ট করা দূরে থাকুক বরং বোড়শোপচারে দেবীর পূজা করতঃ বহুমুল্য রত্নালঙ্কারে দেবীকে ভূষিত করিয়াছিলেন। বর্গভীমা দেবী একান্ন পীঠের অন্তর্গত না হইলেও এখানেও নিদিষ্ট সীমার মধ্যে (উত্তরে পায়রাটুঙ্গী খাল, পূৰ্ব্বে রূপনারায়ণ নদ, দক্ষিণে শঙ্কর আড়। খাল, পশ্চিমে গড় মরিচ। খাল । ) দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রী, বাসস্তী, রটন্তী প্রভৃতি পূজা আবহমানকাল হইতে নিষিদ্ধ হইয়া আসিতেছে । সেই কারণে এখনও কেহই উক্ত সীমার মধ্যে ঐ সকল পূজা করেন নাই। সকলেই বর্গভীমা দেবীর নিকটে আপনাপন পূঙ্গ দিয়া থাকেন। যাহারা প্রতিমা করিয়া ঐ সকল পূজা করিতে ইচ্ছা করেন, তাহার। উক্ত সীমার বাহিরে গিয়াই তাহা করিয়া থাকেন। বর্গভীমা দেবীর মন্দিরটি তমলুকের একটি প্রাচীন কীৰ্ত্তি । এই মন্দিরটির অপূৰ্ব্ব শিল্পনৈপুণ্য দেখিয়া সাধারণ লোকে উহাকে দেবশিল্পী বিশ্বকৰ্ম্মার নিৰ্ম্মিত বলিয়৷ জল্পনা কল্পনা করিয়া থাকে। কত দিন হইল কাহার দ্বারা যে উহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল তাহার কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নাই । মন্দিরটির বাহিয়ের গঠনপ্রণালী উড়িষ্য অঞ্চলের মন্দিরের ন্যায় হইলেও ভিতরের গঠন বৌদ্ধবিহারের সদৃশ এবং অনেকাংশে বুদ্ধগয়ার মন্দিরের অনুরূপ । * প্রবেশ দ্বারের সম্মুখে , প্রধান ব৷ মূল বিহারের অনুকরণে একটি ক্ষুদ্র বিহার রহিয়াছে। তদৃষ্টে অনুমিত

  • তমলুকের ইতিহাস-ত্ৰৈলোক্যনাথ রক্ষিত—পূ: ১৭৮-১৭৯ ৷

বর্গভীমার মন্দির ।