পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చి}8 মেদিনীপুরের ইতিহাস । এবং বাহিরের পরিখাতে ৪ । ৫ হাত জল থাকে। বাহির-গড়ের পশ্চিম ও অগ্নিকোণে প্রবেশ-দ্বার । ভিতর গড়ের চতুর্দিকে প্রথম পরিথাটির পাশ্ব দিয়া কাটা বাশের ঝাড় পরস্পর এরূপ নিরন্ধ ভাবে সংলগ্ন ও জড়িত হইয়া রোপিত ছিল ষে, উহার মধ্য দিয়া মানুষের যাতায়াত দুরের কথা, তীরও প্রবেশ করিতে পারিত না। পূৰ্ব্বে দুটিই পরিখা গভীর জলে এবং বহুসংখ্যক কুম্ভীরে পরিপূর্ণ থাকায় কাহারও উহা সস্তরণপূৰ্ব্বক পার হইবারও উপায় ছিল না । ভিতর গড়ে রাজা সপরিবারে বাস করিতেন এরং বাহির-গড়ে সৈন্য ও রাজকন্মচারিগণ খাকিতেন। মহারাষ্ট্রীয়দিগের উপদ্রবের সময় অনেকেই এই স্তানে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া আপনাদিগকে নিরাপদ মনে করিতেন । কোম্পানীর প্রথম আমলের অনেক চিঠি পত্রে ময়নাগড়ের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। - মহিষাদল থানার মধ্যে মহিষাদল য়াজবংশের কয়েকটি কীৰ্ত্তি আছে । তন্মধ্যে রাণী জানকীদেবীব প্রতিষ্ঠিত ১৭৭৮ খৃষ্টাব্দে নিৰ্ম্মিত মহিষাদলের নবরত্ন মন্দির, ১৭৮৮ সালে নিৰ্ম্মিত রামবাগের রামজীউ মন্দির ও দেউলপোতা গ্রামের গোপীনাথের মন্দিরটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য । মহিষাদলের স্বাবখ্যাত সপ্তদশচুড়ক সমন্বিত বৃহৎ দ্বারুময় রথচ রাজা মতিলালের কীৰ্ত্তি। মহিষাদলের এই রথোৎসব মহাসমারোহের সহিত সম্পন্ন হইয়া থাকে এবং তদুপলক্ষে বহু অর্থ ব্যয় ও বহু লোকের সমাগম হইয়া থাকে । মহিষাদলের রাস-মণ্ডপ এবং সিংহবাহিনীদেবী ও দধিবামন নামক বিগ্রহ রাণী ইন্দ্রাণী দেবীর সময় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল । নন্দীগ্রাম খানার অন্তর্গত রায়পাড়া গ্রামের মহাদেবের মন্দিরটিও মহিষাদলরাজবংশের কীৰ্ত্তি ।