পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నిషి মেদিনীপুরের ইতিহাস । রঘুনাথগড় ঠাকুরবাড়ীর সম্মুখে লালজীউর ও রঘুনাথ জীউর কারুকার্ষ্য বিশিষ্ট দুইখানি রথ আছে। দশহরার দিবস রথযাত্রা উপলক্ষে এবং রঘুনাথ জীউর পুষ্য উৎসব উপলক্ষে চন্দ্রকোণায় দুইটি সুরহৎ মেলা বসে। সে সমর তথায় সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের সমাগম হইয়া থাকে এবং মান প্রকার দ্রব্যের আমদানী ও রপ্তানী হয় । এই সকল উৎসবের খরচ, দেবতা দিগের নিত্য নৈমিত্তিক সেবা পূজার ব্যয় এবং অতিথি অভ্যাগতদিগের সৎকারের জন্য বৰ্দ্ধমানরাজ বিস্তর ভূসম্পত্তি দেবত্তর রূপে দান করিয়াছেন । উহারই উপসত্ব হইতে সকল খরচ নিৰ্ব্বাহ হইয়া থাকে । চন্দ্রকোণায় ‘রাজার মার পুকুর’ নামে একটি সুবৃহৎ পুষ্করিণী আছে । জনশ্রুতি, রাজমাত লক্ষণাবতী উহারও প্রতিষ্টা করিয়াছিলেন । চন্দ্রকোণার অন্তর্গত মিত্ৰসেনপুরের কালীপূজাও রাজমাতার অন্যতম কীৰ্ত্তি । এইরূপ কিম্বদন্তী, রাজ মিত্ৰসেন কর্তৃক উক্ত স্থানে একটি নূতন নগর স্থাপিত হইলে পর রাজমাতা মহাসমারোহের সহিত তথায় কালীপূজা করিয়াছিলেন । তদবধি প্রতিবৎসরই বিশেষ সমারোহের সহিত ঐ স্থানে কালীপূজা হইয়া আসিতেছে এবং এখনও উহা ‘রাজার থা’র কালীপূজা নামেই পরিচিত। রঘুনাথ গড়ের নিকট রাণীসাগর ও সীমাসাগর নামে আরও দুইটি বড় বড় পুষ্করিণী আছে। চন্দ্রকোণায় রামোপাসক সম্প্রদায়ের বড়, মধ্যম ও ছোট অস্থল নামে তিনটি ও নানক পন্থাদিগের একটি মঠ আছে। তিনটি অস্থলে উত্তর পশ্চিম প্রদেশবাসী তিন জন মোহন্ত থাকেন এবং তথায় রামচন্দ্রের মূৰ্ত্তি পূজিত হয়। নানক সম্প্রদায়ের মঠে গ্রন্থ সাহেব রক্ষিত আছে। ঐ সকল মঠেরও যথেষ্ট সম্পত্তি আছে । লালজীউ ও রঘুনাথ জীউর রথ । রাজমাতার কীর্তি ও সন্ন্যাসীদের মঠ ।