পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । రిచె') চন্দ্রকোণা সহরের উত্তরে সাহেব ডাঙ্গা’-নামক স্থানে কতকগুলি ইষ্ঠকালয়ের ভগ্নাবশেষ আছে । কোম্পানীর আমলে ব্যবসাবাণিজ্য উপলক্ষে ইউরোপীয় বণিকগণ ঐ স্থানে বাস করিতেন । সেই কারণে ঐ স্থানের ঐরূপ নামকরণ হইয়াছিল। পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে, সে সময় এ প্রদেশ ব্যবসাবাণিজ্যের জন্য বিশেষ প্যাতি-লাভ করায় ইউরোপীয় বণিকগণ এই দেশের নানা-স্থানে কুঠী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। চন্দ্রকোণ, ঘাটাল, দাসপুর প্রভৃতি থানার স্থানে স্থানে এখনও সেই সকল সুবৃহৎ নীলকুঠ ও রেশম কারখানাগুলির ধ্বংসাবশেষ দৃষ্ট হয়। ক্ষীরপাই সহরের নিকটবৰ্ত্তী কালীগঞ্জ নামক গ্রামেও কোম্পানীর একটি সুবৃহৎ কুঠী ছিল । উহারই অনতিদূরে বেড়াবেড়া নামক পল্লীতে সাহেবদের ছয়টি সমাধি-স্তম্ভ আছে। সমাধি-স্তম্ভগুলির এখন ধবংসাবস্থা এবং উহাদের গাত্র-সংলগ্ন খোদিত বেড়াডোর লিপিগুলিও সম্পূর্ণরূপে ক্ষয়প্রাপ্ত হইয়া গিয়াছে। সমাখি-ক্ষেত্র । সেজন্য ঐগুলি যে কাহাদের সমাধি বা কতদিনের পুরাতন তাহ সঠিক জানিবার উপায় নাই । সেকালে ইউরোপের অধিবাসীরা যাহারা এ দেশে ব্যবসায় বাণিজ্য বা চাকরী উপলক্ষে আসিতেন, তাহারা এদেশের লোকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশিতেন এবং এদেশের লোকেও তাহাদিগকে নিজেদের বন্ধু বান্ধবের মতই মনে করিতেন । সেকালের দেশী বিদেশীর ঐরূপ ঘনিষ্ঠতার অনেক কাহিনী অদ্যপি এ প্রদেশে শ্রত হওয়া যায়। এই জেলার সার্ভে সেটেলমেন্টের কার্য্যে নিযুক্ত থাকিবার সময়ে আমাদিগকে একবার বেড়াবেড়া পল্লীতেই শিবির সন্নিবেশ করিয়া কয়েক দিন কাটাইতে হইয়াছিল। সেই সময় দেখিয়াছি, গ্রামবাসিরুদ্ধগণ এখনও তাহাদের পারিবারিক

  • *

সাহেব ডাজ ।