পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२३ মেদিনীপুরের ইতিহাস । কোন শুভকাৰ্য্য উপলক্ষে বা কোন বিশেষ পৰ্ব্বদিনে তাহাদের পিতৃ পিতামহের মুখ দুঃখের সার্থী পরলোকগত সেই সকল বিদেশীয় বন্ধুগণের পারলৌকিক মঙ্গল কামনা করতঃ এক একটি ক্ষুদ্র দীপাধার তৈল পূর্ণ করিয়৷ সেই জরাজীর্ণ সমাধিগুলির সম্মুখে জালিয়। দিয়া আসে। চন্দ্রকোণা সৃহরের চার পাঁচ মাইল দক্ষিণ-পূৰ্ব্বে কাকর গ্রামে “ছোট দীঘি” নামে একটি বৃহৎ পুষ্করিণী আছে। উহার এক পাশ্বে দাড়াইলে অন্ত পার্থের লোক চেনাযায় না। কতদিন """ হইল কাহার দ্বারা যে ঐ পুষ্করিণীটি খনিত হইয়াছিল তাহা জানা না গেলেও পাচ ছয় শত বৎসরের মধ্যে যে উহা খোদাই করা হয় নাই তাহা উহার বর্তমান অবস্থা দেখিয়াই বেশ বুঝিতে পারা যায়। নাম হইতে জানা যায়, উহাই ঐস্থানের ছোট দাঁখি ; এতদূব্যতীত ঐস্থানে একটি বড় দীঘিও ছিল, তাহা এখন ধান্তক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছে। কেবল স্থানে স্থানে পাড়ের ধ্বংসাবশেষ তাহার পূর্ব গৌরবের সাক্ষ্য দিতেছে। ছোট দীঘিটির পরিমাণ দেখিয়া বড় দীঘিট কিরূপ ছিল তাহ অনুমান করা যাইতে পারে। বাকর গ্রামের তিন চার মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে দনাই নদী । চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে কবি মুকুন্দরাম এই দুনাই নদীর নামোল্লেখ করিয়া ● ছেন। দনাই নদীর উপরে বর্ধমান রাস্তায় ‘পিঙ"*" লাসের সাকো নামে একটি প্রস্তর নিৰ্ম্মিত পুরাতন পোল ছিল। এই পিঙ লাসের সাকো পূৰ্ব্বে কাতলা ফেলার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। এখনও ঐস্থান সম্পূর্ণ নিরাপদ হয় নাই। উহার অনতিদূরে একটি স্ববহৎ নীলকুঠী ছিল। তাহার ভগ্নাবশেষও অস্থাপি দৃষ্ট হয়। সেই স্থানেও একটি পুরাতন পুষ্করিণী আছে। ঘাটাল মহকুমার অন্তর্গত রাজনগর গ্রামে চিতুম্বা বরদার জমিদার