পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՓՀԵ মেদিনীপুরের ইতিহাস । কর্ণেলগোল নামক স্থানে শ্রীরামচন্দ্রের সুউচ্চ মন্দির দুইটিও উল্লেখ যোগ্য। শিববাজার পল্লীতে মেদিনীপুরের অন্যতম জমিদার স্বৰ্গীয় চৌধুরী জনমেঞ্জয় মল্লিকের প্রতিষ্ঠিত দ্বাদশটি শিবালয় ও কারুকার্য্য বিশিষ্ট একটি রাস-মঞ্চ আছে। বার মাসের তের পর্ব উপলক্ষে, বিশেষতঃ রাস-যাত্রার সময় মল্লিক বাবুরা এইস্থানে বহু অর্থ ব্যয় করিরা থাকেন। মেদিনীপুর সহরের মধ্যস্থিত মসৃজি ও পীরস্থানগুলির মধ্যে সিপাহী বাজারের সাধল, নরমপুরের ইদৃগ, মিঞা বাজারের দেওয়ান সৈয়দৃ রাজ্জি বা চন্দন সাহিদের মসজিদ ও মহাতীপপুরের ইয়াগোর সাহেবের মসজিদৃ সুপ্রসিদ্ধ। সিপাহী বাজারের সাধলে পারস্য ভাষায় লিখিত যে লিপিটী আছে, উহা হইতে জানা যায় যে, সম্রাট সাজাহানের রাজত্বকালে উহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। নরমপুরের ইদৃগার সহিতও সাজাহানের নাম সংযুক্ত আছে, সে কথা পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে। চন্দন সহিদের মসজিদে হস্ত-লিথিত একখানি পুরাতন কোরাণ আছে। জনশ্রুতি, বাদসহ ঔরঙ্গজেবের সময়ে এই মসূজিদৃট নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ইয়াদৃগার সাহও চন্দন সহিদের সমসামরিক ব্যক্তি। বর্তমান কালেক্টার কাছারীর পূর্বপ্রান্তে পীর পলুওয়ান নামে একজন মুসলমান সাধুর সমাধি আছে। প্রতিদিন বহুসংখ্যক লোক এই সাধুর সমাধি পার্থে দু’একটি করিয়া পয়সা বা কিছু সিন্নি দিয়া যায়। চন্দন সহিদ, ইয়াদৃগার সাহ ও পীর পলুওয়ান হিন্দু, মুসলমান উভয় ধৰ্ম্মাবলম্বীর নিকট হইতেই সমভাবে শ্রদ্ধা ও পূজা পাইয়া থাকেন। কর্ণেল গোলা পল্লীর দেওয়ান খানার মসজিটের কারুকার্য্যও উল্লেখ যোগ্য। সহরের উত্তর পশ্চিম কোণে বর্তমান বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে ষ্টেশনের অনতিদূরে এক ফকিরের সমাধি স্থানে একটি কূপ আছে। এ প্রদেশে উহা ‘ফকিরের কুয়া’ নামে মসুদ্ধি (ෆි পীরস্থান ।