পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3x38 মেদিনীপুরের ইতিহাস। স্তম্ভ আছে এবং গোপ গিরির পাদদেশে পুরাতন বোম্বে রাস্তার পার্থে গোপ নন্দিনী নামে এক প্রাচীন দেবী আছেন । - গোপ গিরির অনতিদূরে সুউচ্চ ভূমির উপর নাড়ীজোলাধিপতি রাজা নরেন্দ্রলাল খ সম্প্রতি কয়েক বৎসর হইল একটি সুদৃশ্ব ও সুবৃহৎ অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করিয়া তথায় সপরিবারে বাস করিতেছেন। কয়েক লক্ষ মুদ্র ব্যয় করিয়৷ এই প্রাসাদটী নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছে। জলের কল, বৈদ্যুতিক আলোক ও ব্যঞ্জন, সুরম্য উষ্ঠান, গ্রীষ্ম উত্তাপ নিবারণার্থে মৃত্তিকাভ্যন্তরস্থ গৃহ প্রভৃতি বিলাসিতার সকল প্রকার আয়োজন ও ব্যবস্থাই এই গৃহে আছে । মেদিনীপুর সহরের অৰ্দ্ধক্রোশ উত্তরে রাণীগঞ্জ রাস্তার পূর্বদিকে আবাস গড়টি অবস্থিত। এক্ষণে উহাকে একটি ভগ্নপ্রায় উদ্যান বাটীকার দ্যায় দেখায়। কর্ণগড়ের পঞ্চম রাজা রামসিংহ কর্তৃক সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে এই গড়ট নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। "*" কর্ণগড়ের শেষ রাণী শিরোমণি ও নাড়াঙ্গালের রাজা মোহনলাল খুঁ। এই গড়টার অনেক সৌষ্ঠব সাধন করিয়াছিলেন। গড়টির পরিখার চিহ্ন অদ্যাপি তিন দিকে সুস্পষ্ট বিদ্যমান আছে। উহার একদিকে এখনও অগাধ জল দেখিতে পাওয়া যায়। উক্ত স্থানের নাম ‘রাজার বাধ’ । গড়ের সম্মুখ-দেশে এক বৃহৎ সিংহদ্বার ; ঐ দ্বারের উভয় পাশ্বে প্রহরীদের থাকিবার জন্য শ্রেণীবদ্ধভাবে খিলান করা কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গৃহ ছিল। ঐ দ্বার পার হইলে প্রাচীর বেষ্টিত অনেকখানি ভূমি দেখিতে পাওয়া যায় ; প্রাচীরগাত্রে যে সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গৃহ ছিল তথায় রাজসৈন্যগণ বাস করিত। ঐ স্থান অতিক্রম করিলে রাজপ্রাসাদের তাবশেষ দৃষ্ট হয়। এই স্থানে অনুন শতবিঘা গোপ-প্রাসাদ ।