পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wరిఙg মেদিনীপুরের ইতিহাস। মিলিত হইয়াছে। তাহাতে উক্ত নদী গড়ের স্বাভাবিকী পরিখার কার্য্য করিয়া এই স্থানকে অতি সুখদ ও সুন্দর করিয়া তুলিয়াছে। এই পরিখার মধ্যস্থিত ভূমি প্রায় শতাধিক পরিমাণ বিস্তৃত। ইহার মধ্যে ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত অনেকগুলি গৃহ ও দেব মন্দির ছিল। সে সমুদয় গৃহাদি এক্ষণে চুর্ণিকৃত হইয়া জঙ্গলময় স্ত,পাকারে বর্তমান রহিয়াছে। উচ্চভূমিতে সৈন্তগণের ও রাজকৰ্ম্মচারিদিগের যে বাসস্থান ছিল, তাহায় চিহ্ন অতি সামান্তই আছে। পরিখার বহির্ভাগে একটি পঞ্চরত্ন মন্দির দৃষ্ট হয়। জনশ্রুতি, উহা রাজগুরুর কুলদেবতায় মন্দির। এক্ষণে উহাতে কোন মূৰ্ত্তি নাই। কর্ণগড়ের দক্ষিণাংশে এই রাজ্যের অধিদেবতা অনাদিলিঙ্গ ভগবান দণ্ডেশ্বর ও অধিষ্ঠাত্রী দেবী ভগবতী মহামায়ার মন্দির প্রতিষ্ঠিত আছে । বৃহদাকার প্রস্তর দ্বারা এই দেবদেবীর মন্দির এরূপ সুদৃঢ়রূপে নিৰ্ম্মিত যে দেখিলে মনে হয়, যুগযুগান্তরেও উহার বিলোপ হইবে না। এই মন্দিরের তোরণ-দ্বারদেশে নিৰ্ম্মিত “যোগী-ঘোপা" বা যোগ মণ্ডপ-নামক প্রস্তরময় ত্রিতল মন্দিরটি আর এক অদ্ভুত বস্তু। মহামায়ার মন্দিরে একটি পঞ্চমুণ্ডী যোগাসন আছে। এইরূপ কিম্বদন্তী শিবায়ন রচয়িত কবি রামেশ্বর ভট্টাচাৰ্য্য ও কর্ণগড়ের খ্যাতনামা রাজা যশোবস্ত সিংহ উক্ত যোগাসনে বসিয়া সিদ্ধ হইয়াছিলেন। কর্ণগড়টিও এক্ষণে নাড়াজোলাধিপতির সম্পত্তি। তাহারই ব্যয়ে মন্দিরগুলির সংস্কারাদি এবং দেবতাগুলির সেবা-পূজাযথারীতি নিৰ্বাহ হইয়া থাকে। খড়গপুর থানার অন্তর্গত বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের খড়গপুর ষ্টেশনের নিকটবর্তী ইন্দ গ্রামে খড়েগশ্বর নামে মহাদেবের একটি পুরাতন মন্দির আছে। কেহ কেহ বলেন, ধারেন্দার অন্ততম রাজা খড়গসিংহ কর্তৃক এই মন্দিরট প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল ; আবার কেহ কেহ বলেন,