পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&S& মেদিনীপুরের ইতিহাস। এক্ষণে বাস করিতেছেন। ঐ স্থানে যে প্রাচীন কালী মন্দিরটা আছে উহ। ঐ বংশের সস্তান গোবিন্দরাম রায় কর্তৃক ১৬৩৪ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ডেবরা থানার অন্তর্গত কেদারকুণ্ড পরপণায় "ভূড়তুড়ি কেদার বা চপলেশ্বর নামে এক অনাদি লিঙ্গ মহাদেব আছেন। র্তাহারই নামে ঐ পরগণার নাম কেদার বা কেদারকুণ্ড হইয়াছে। রাজা তোডরমল্পের রাজস্ব-বিভাগে কেদারকুণ্ড পরগণার নাম দৃষ্ট হয়। সুতরাং তাহারও পূৰ্ব্ব হইতেই যে ঐ মহাদেব প্রতিষ্ঠিত আছেন তাহা বলা যাইতে পারে। জনশ্রুতি, রাজা যুগলকিশোর য়ায় নামক এই স্থানের জনৈক প্রাচীন জমিদার উহার প্রতিষ্ঠাতা। মহাদেবের মন্দিরের পার্থে একটি কুণ্ড বা জলাশয় আছে। কুওটির জল কখনও শুষ্ক হয় না। নিরস্তর উহার মধ্য হইতে ভূড় ভূড়' শব্দে । জল-বৃদ্ধ দ উত্থিত হইতেছে। উহারই অনতিদূরে একটি ক্ষুদ্র জলস্রোত দেখিতে পাওয়া যায় । উহ্য ক্ষীরাই নদীর সহিত মিলিত হইয়াছে। সম্ভবতঃ উহার সহিত এই কুণ্ডটির কোন প্রকার যোগ থাকায় ঐরূপ জল-বুদ্ধ,দ উত্থিত হইয়া থাকে এবং উহার জলও ঐ কারণে কখনও শুষ্ক হয় না। সাধারণের বিশ্বাস, উত্তরায়ন সংক্রাস্তি দিবসে এই কুণ্ডে স্নান করিলে বন্ধ্য নারী পুত্রবতী হন। এই কারণে উক্ত দিবস শত শত বন্ধ্যানার প্রত্যুষে এইস্থানে স্নান করিয়া চপলেশ্বরের পুজা দিয়া থাকেন। সেই সময় এই স্থানে সাত আট দিন ব্যাপী একটি মেলা বসে। বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের বালিচক ষ্টেশন হইতে তিন মাইল দক্ষিণে এই স্থানটি অবস্থিত। ডেবর থানার দ্বারপাড়া গ্রামে বাগুলী দেবী, কুমরপুর গ্রামে ভুড়তুড়ি কেদার।