পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীক্তি ও কাহিনী । *}86t হাতেশ্বর জীউ ও পুশং গ্রামে খগেশ্বর জীউ নামে তিনটি দেবতা আছেন। জনশ্রুতি, পূৰ্ব্বোক্ত রাজা যুগল কিশোর রায়ের বংশের শেষ রাজা মুকুট নারায়ণ রায় বাশুলী দেবীর প্রতিষ্ঠাতা। ঐ স্থানের সুরাদৗৰি নামক স্ববৃহৎ পুষ্করিণীটও তাহার সময়ে খোদিত হইয়াছিল। প্রতি বৎসর বৈশাখ মাসে হাতেশ্বর জীউ ও খগেশ্বর জীউর মন্দির-প্রাঙ্গনে এক একটি মেলা বসিয়া থাকে। ডেবরা থানার মধ্যে ‘গড় কিল্লা’ ও ‘আলীশার গড়’ নামে দুইটি প্রাচীন গড়ের ধ্বংসাবশেষ দৃষ্ট হয়। জনশ্রুতি, গড়কিল্লায় কেদারকুও পরগণার জমিদার পূৰ্ব্বোক্ত রাঙ্গ যুগল কিশোর রায় ও রাজা মুকুট নারায়ণ রায় প্রভৃতি বাস করিতেন । উত্তরকালে কাশীজোড়া পরগণার জমিদার রাজা রাজনারায়ণের হস্তে রাজা মুকুট নারায়ণের পরাজয় ঘটিলে উক্ত গড় সমেত সমস্ত কেদারকুণ্ড পরগণা কাশীজোড়া রাজবংশের অধিকায়ভূক্ত হয়। তদবধি উক্ত গড়টি ক্রমশঃ ধ্বংসের পথে অগ্রসর হইতে থাকিয়া এক্ষণে স্মৃতিমাত্রে পরিণত হইয়াছে। আইন-ই-আকৃবরিতে কেদারকুণ্ড পরগণার মধ্যে তিনটি দুর্গের উল্লেখ আছে। তন্মধ্যে গড় কিল্লাটি অন্যতম বলিয়া মনে করা যাইতে পারে। বাশুলী দেবী, হাতেশ্বর ও খগেশ্বর জীউ । গড়কিল্লা ও আলি শার গড় । আলিশার গড়টি আলি সহ-নামক জনৈক পরাক্রান্ত মুসলমান জমিদায় কর্তৃক অকুমান প্রায় চারিশত বৎসর পূৰ্ব্বে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। তাহারই নামাকুসারে গ্রামটির নামও আলিশা গ্রাম হয়। আলিসাহর কীর্তিগুলির অধিকাংশই এক্ষণে মুক্তিকাভ্যস্তরে স্থান প্রাপ্ত হইয়াছে। গড়টির চতুৰ্দ্ধিকে যে পরিখা ও মৃত্তিকান্ত পের প্রাচীর ছিল অদ্যাপি স্থানে স্থানে তাহার চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। কয়েক বৎসর