পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । రి&a গিয়াছেন। চন্দ্রী গ্রামে অনেকগুলি ব্রাহ্মণের বাস আছে। প্রতি বৎসর এই স্থানে মহাসমারোহে চড়ক পূজা সম্পন্ন হইয়া থাকে। ঝাড়গ্রাম পরগণার মধ্যে ‘রাজদহ মাতা’ নাম্নী এক দেবী আছেন । ঝাড়গ্রাম গড় হইতে প্রায় তিন মাইল পথ অতিক্রম করিয়া বনমধ্যে প্রবেশ করিলে এই দেবীর অবস্থিতি স্থান দৃষ্ট হর। দেবার অবস্থাপিত স্থানের নিকটেই একটি জলস্রোত নিরন্তর উজ্জীবিত হইতেছে। এই জলস্রোত হইতেই পরগণার মধ্যে একটি ক্ষুদ্র স্রোতস্বতী প্রবাহিত হইয়াছে। ঝাড়গ্রাম রাজ্যের প্রজাদের বিশ্বাস কোন বৎসর এদেশে অনাবৃষ্টি হইলে দেশাধিপতি রাজা এই স্থানে উপস্থিত হইয়া ভক্তিভরে দেবীকে অচ্চনা করিলে দেশমধ্যে সুবৃষ্টি হইয়া থাকে । গোপীবল্লভপুর থানায় কয়েকটি প্রাচীন কীৰ্ত্তির নিদর্শন আছে। এই থানার অন্তর্গত কুলটিকর গ্রামের প্রায় এক মাইল পূৰ্ব্বদিকে কিয়ারচাদ প্রাস্তরে প্রায় পাঁচ ছয় শত প্রস্তরস্তম্ভ স্থানে স্থানে প্রোথিত ও ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়িয়া আছে, দেখা যায়। সেগুলি উচ্চে আড়াই ফিট হইতে চার ফিটের বেশী নয়। উহাদের মস্তকভাগ গোলাকৃতি, অনেকট মনুষ্যের মস্তক ও গ্রীবাদেশের অন্নুরূপ এবং অধঃভাগ সাধারণ স্তস্তের দ্যায়। আসামের নাগ পৰ্ব্বতে ও ছোটনাগপুরের স্থানে স্থানেও এইরূপ প্রস্তর-স্তম্ভ দেখিতে পাওয়া যায়। প্রত্নতত্ববিদ্বগণ অনুমান করেন, এগুলি প্রাগৈতিহাসিক যুগের আদিম নিবাসিগণের কীৰ্ত্তি । তাহারা তাহীদের আত্মীয় স্বজনের মৃত্যুর পর এইরূপ সমাধি-স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিত। খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্য ভাগে জহর সিংহ নামক এ প্রদেশের জনৈক রাজা বিভিন্ন স্থান হইতে রাজদহ মাত । শ্বিপাকিয়ারচাদের প্রস্তর-স্তস্ত ।