পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·ථNH মেদিনীপুরের ইতিহাস । এইরূপ প্রায় সহস্র স্তম্ভ সংগ্ৰহ করিয়৷ কিয়ারচাদ প্রান্তরে স্থাপিত করিয়াছিলেন। দূর হইতে দেখিলে এইগুলিকে দণ্ডায়মান মনুষ্য বলিয়া মনে হয়। এইরূপ কিম্বদন্তী, শক্রপক্ষের মনে তাহার জনবল সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা জন্মাইয়া দিবার উদ্দেশ্যে জহর সিংহ ঐগুলিকে উক্ত স্থানে প্রোথিত করিয়া রাখিয়াছিলেন। কিন্তু তাহার সে উদ্দেশু। কতদূর সফল হইয়াছিল, তাহ কে বলিবে ? খেলাড় নয়াগ্রাম পরগণায় সুবর্ণরেখা নদীর দক্ষিণকুলে দেউলবাড় গ্রামে রামেশ্বর নাথের একটি প্রাচীন প্রস্তর নিৰ্ম্মিত মন্দির আছে। মন্দিরটা একটি ক্ষুদ্র পাহাড়ের উপর উৎকল দেশীয় শিল্প পদ্ধতি অনুসারে নিৰ্ম্মিত। উহার উচ্চতা প্রায় ৭৫ ফিট । ছাদে এবং দেওয়ালের চতুর্দিকে নানাপ্রকার চিত্র ও কারুকার্য আছে। মন্দির মধ্যে সহস্রলিঙ্গ নামে এক মহাদেব আছেন । জনশ্রুতি, খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে নয়াগ্রামের অন্যতম রাজা চন্দ্রকেতু স্বপ্নে আদিষ্ট হইয়৷ এই স্থানে ঐ মন্দির ও দেবতা প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। এখনও নয়াগ্রামের বর্তমান রাজবংশের ব্যয়েই দেবসেবা নিৰ্ব্বাহ হইয়া থাকে। চৈত্র সংক্রান্তী ও গঙ্গা বারুণীর সময় ঐস্থানে প্রতি বৎসর বৃহৎ মেল৷ বসিয়া থাকে । রামেশ্বর নাথের মন্দিরের প্রায় দুই মাইল অস্তরে নিবিড় অরণ্য মধ্যে তপোবন নামক একটি স্থান আছে। তথায় একটি জীর্ণ ক্ষুদ্র মন্দিরের ভগ্নাবশেষও দৃষ্ট হয়। উহার নিকট দিয়া সীতা খাল নামক একটি ক্ষুদ্র নিবরিণী প্রবাহিত হইতেছে। স্থানীয় লোকের বিশ্বাস, এই স্থানেই মহর্ষি বাল্মিকীর তপোবন ছিল ; সীতাদেবী রামচন্দ্র কর্তৃক পরিত্যক্ত হইলে লক্ষ্মণ রামেশ্বর নাথের মন্দির। তপোবন }