পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । ○&> খেলাড় গড় নয়াগ্রামের বর্তমান জমিদার মুর্শিদাবাদের নবাব বাহাদূরের সম্পত্তি । গোপীবল্লভপুরের গোবিন্দজীউর মন্দিরট এ প্রদেশে সুপ্রসিদ্ধ। গোবিন্দজীউ বা গোপীবল্লভ জীউর নামানুসারেই এই স্থানের নামকরণ হইয়াছে। গোপীবল্লভপুরের বিখ্যাত গোস্বামী ংশ এই মন্দির ও মূৰ্ত্তির প্রতিষ্ঠাতা। র্তাহীদের বংশেরও বিস্তারিত বিবরণ যথাস্থানে আলোচিত হইবে । স্নান পূর্ণিমার সময় ঐ স্তানে একটি বৃহৎ মেলা হয় এবং সেই উপলক্ষে নানাস্থানের বহু সংখ্যক বৈষ্ণবের সমাবেশ হইয় থাকে। পশ্চিম-বঙ্গের এবং উড়িষ্যার নানাস্থানেই গোপীবল্লভপুরের গোবিন্দ জীউর সম্পত্তি আছে এবং গোস্বামী বংশের শিষ্য আছে। স্বনামখ্যাত সাহিত্যিক ভূতপূৰ্ব্ব সব ডেপুটী কালেক্টর বন্ধুবর শ্ৰীযুক্ত সত্যেশচন্দ্র গুপ্ত এম্-এ মহাশয় মেদিনীপুর জেলায় সার্ভে ও সেটেলমেণ্ট কাৰ্য্যে নিযুক্ত থাকিবার সময়ে, ১৯১৩ ཙཱ་ཝཱ་ལཱ་པཱུག་བ খৃষ্টাব্দে, নয়াগ্রামের নিকটবৰ্ত্তী কমলপুর গ্রামের সুবর্ণরেখার নদীর গর্ভে বালুক প্রোথিত অবস্থায় একটি প্রস্তর মূৰ্ত্তি পাইয়াছিলেন। মুর্কিট খণ্ডিত । চালি, মস্তক, মুখ, গলদেশ ও দক্ষিণ বাহু একবারেই নাই। বাম বাহু, পদদ্বয় মধ্যস্থ মূৰ্ত্তি ও উভয় পার্শ্বস্থ মূৰ্ত্তি চতুষ্টয়ের মুখ ভগ্নাবস্থায় আছে। তলদেশের অন্যান্য মূৰ্ত্তির মধ্যে মাঝের ও বাম দিকের মূর্তিগুলি সুস্পষ্ট রহিয়াছে। ইহা স্বৰ্ষ্য বা আদিত্য মুৰ্ত্তি বলিয়াই অনুমিত হয়। কিন্তু এই জেলার কোন স্থানে সুর্য্য মন্দির নাই বা কখনও ছিল বলিয়াও তাহার কোন নিদর্শন পাওয়া যায় নাই। এরূপ মূৰ্ত্তি এই জেলার অন্ত কোন স্থান হইতেও আবিষ্কৃত হয় নাই। স্থানীয় অশীতিপর বৃদ্ধেরাও এইরূপ মূৰ্ত্তি গোবিন্দ জীউর মন্দির ।