পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬২ মেদিনীপুরের ইতিহাস। সম্বন্ধে কোন কথা বলিতে পারে নাই বা ইতিপূৰ্ব্বে ইহা কখনও দেখিয়াছে বলিয়াও স্বীকার করে না । কর্ণেল ডাল্টন ও বেলগার কর্তৃক বিবৃত মানভূম জেলার সুবর্ণরেখার তীরবর্তী ডালমী নামক স্থানের প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের বিবরণ পাঠ করিলে জানা যায় যে, তথায় আদিত্য মূৰ্ত্তি এবং কামদেব ও রতী মূৰ্ত্তি ছিল। এখনও সেখানে তাহার নিদর্শন আছে। এই কারণে সতেশ বাবু অম্বুমান করেন যে, ঐ মূৰ্ত্তিটা ও খেলাড়গড়ের অশ্বপুষ্ট্রে উপবিষ্ট পূৰ্ব্বোক্ত স্ত্রী-পুরুষ মূৰ্ত্তিটা মানভূম জেলা হইতেই এখানে আসিয়া পড়িয়াছে ; এ গুলি ডালমীর অসংখ্য ভগ্ন মন্দিরের কোন না কোনটিতে এককালে স্থাপিত থাকাই সম্ভব। সুবর্ণরেখা নদী মানভূম প্রদেশ হইতে বাহির হইয়া এই জেলার পশ্চিমোত্তর প্রাস্তে নয়াবসান নামক পরগণায় প্রবিষ্ট হইয়া নয়াগ্রাম প্রভূতি পরগণার মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইয়া গিয়াছে। আমাদের অনুমান, এই সুবর্ণরেখার জল প্রবাহই ঐগুলিকে স্থানচু্যত করিয়া এখানে আনিয়! ফেলিয়াছে । * কেশিয়াড়ী খানার প্রাচীন কীৰ্ত্তির মধ্যে সৰ্ব্বমঙ্গলা দেবীর কথা সৰ্ব্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য। ভবানীপুরের মঙ্গলামাড়ো পল্লার মধ্যস্থলে সৰ্ব্বমঙ্গল দেবীর মন্দিরট অবস্থিত। ঐ মন্দির ও তৎসংলগ্ন ভূমি পূৰ্ব পশ্চিমে বিস্তৃত প্রাচীরের দ্বারা তিনটি অংশ বা মহালে বিভক্ত। মন্দিরের সম্মুখে প্রশস্ত প্রাঙ্গণ। তাহার পশ্চিমে সিংহ-দ্বার। সিংহ-দ্বারের সম্মুথে বৃহৎ কৃষ্ণ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত মন্থণ দেহ প্রকাণ্ড ষণ্ড বর্তমান। এই ষণ্ডের সম্মুখস্থ পদদ্বয় দেহ হইতে বিচ্ছিন্ন। ইহাও কালাপাহাড়ের অত্যাচারের চিহ্ন বলিয়। কথিত হইয়া আসিতেছে। মন্দিরে উঠিয়া

  • ভারতবর্ষ-জ্যৈষ্ঠ–১৩২৩ ।