পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○も8 মেদিনীপুরের ইতিহাস । মস্তকে এবং বামপদ স্বীয় দক্ষিণ উরুর উপর স্থাপিত। তাহার মস্তকে বৃহৎ স্বর্ণ মুকুট, দুই কর্ণে সুবর্ণের ফুল মাকড়ী ও দুই হস্তে বিবিধ সুবৰ্ণালঙ্কার আছে। দেবীর দুই পার্থে দুইটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মঞ্চে ঐক্লপ প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত সিন্দুর-চর্চিত জয় বিজয়ী মূৰ্ত্তি । মঞ্চের উপর বাম পার্থে এই মূৰ্ত্তিন্ত্রয়ের অনুরূপ ‘বিজয় মঙ্গল’ নামে পিত্তল নিৰ্ম্মিত আর তিনটি মূৰ্ত্তি ক্ষুদ্র একটি সিংহাসনের উপর স্থাপিত । পূৰ্ব্বোক্ত প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তিগুলি প্রস্তর বেদীর সহিত সংলগ্ন বলিয়৷ কোন পর্বোপলক্ষে দেবীকে মন্দিরের বাহিরে জগমোহনে লইয়া যাইতে হইলে এই বিজয় মঙ্গলা মূৰ্ত্তিই বাহির হন । এই বিজয় মঙ্গলা মূৰ্ত্তির পাদদেশে এবং পূৰ্ব্বোক্ত জগমোহন মন্দিরের দেওয়ালে উড়িয়া ভাষায় যাহা লিখিত আছে তাহা হইতে জানা যায় যে,এই ভূভাগে রঘুনাথ শৰ্ম্ম৷ নামক ভূঞা উপাধিধারী কোন জমিদার ছিলেন। র্তাহার পুত্র চক্ৰধর ভূঞা ১৫২৬ শকাদায় ( ১৬১৪ খৃঃ অঃ ) মহারাজ মানসিংহের তিন অঙ্কে সোমবারে দেবী মন্দির ও জগমোহন প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। হরিদাস নামক জনৈক ব্যক্তি সেই জমিদারের করণ বা কৰ্ম্মচারী ছিলেন এবং রঘুনাথ কামিল ( কৰ্ম্মকার ) ও বামুরাম কারিকর ( রাজমিস্ত্রি) যথাক্রমে বিজয় মঙ্গলা মূৰ্ত্তি ও জগমোহন মন্দিরটা নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন। এই ভূঞা বংশের কথা পূৰ্ব্বে আলোচনা করা হইয়াছে । সৰ্ব্বমঙ্গল দেবীর মন্দিরে বৌদ্ধ প্রভাবও বিশেষরূপে পরিলক্ষিত হয়। পূৰ্ব্বোক্ত কালভৈরবের মূৰ্ত্তির গঠন প্রণালী বৌদ্ধ যুগের মূৰ্ত্তি গঠনের অনুরূপ। এতদ্ব্যতীত প্রায় সৰ্ব্বত্রই দেখা যায় যে, দেবী মন্দিরের সম্মুখেই যুপ কাষ্ঠ স্থাপিত ও সেই স্থানেই পশু বধ হইয়া থাকে। কিন্তু এই স্থানের প্রথা স্বতন্ত্র। দেবীর মূল মন্দিরের সংলগ্ন দক্ষিণ দিকে