পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । やがも& প্রাচীর বেষ্টিত একটি স্থান আছে। সেখানে সাধারণের দৃষ্টি সহজে পতিত হয় না। ঐ বেষ্টিত স্থানের মধ্যে অর্গল ও তাহার নিকটে উচ্চ প্রস্তর খgণ্ডর উপর একটি খর্পর খোদিত আছে। বলি-যোগ্য পশুকে মন্দিরের পশ্চাৎভাগে লইয়া যাওয়া হয়, তৎপরে একটি দ্বার পথে পূৰ্ব্বোক্ত বেষ্টিত স্থানে লইয়া গির উৎসর্গীকৃত করা হয়। ছেদিত পশুর রক্ত মাংস খপরে রাখিয় সেই স্থানেই দেবীকে নিবেদন করা হইয়া থাকে। এইজন্য মনে হয় যে, বৌদ্ধ ভাব দূরীভূত হইয় তন্ত্রের প্রভাব সৰ্ব্বোতভাবে প্রতিষ্ঠিত হইবার পূর্বে এই দেবীর প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল। সৰ্ব্বমঙ্গলা দেবী দুৰ্দ্দান্ত মহারাষ্ট্রীয়দিগেরও ভক্তি আকর্ষণ করিয়াছিলেন। তাহারা ইহার সেবা পূজার জন্ত অনেক অর্থ ও অলঙ্কারাদি দিয়া গিয়াছিল । সৰ্ব্বমঙ্গলা দেবীর মন্দিরের সম্মুখে কাশীশ্বর নামে এক শিব আছেন। এই শিব মন্দিরে কোন শিলালিপি নাই। শিবলিঙ্গ স্বয়ম্ভূ। যে প্রস্তর খানির একাংশের উপর মন্দির উঠিয়াছে, তাহ হইতে খোদাই করিয়াই শিব ও শক্তি বাহির করা হইয়াছে। কাশীশ্বর ব্যতীত কপিলেশ্বর, নমোজ প্রভৃতি নামে আরও কয়েকট প্রাচীন শিবলিঙ্গ কেশিয়াড়ীতে আছেন। এক সময় এই শিবালয়গুলিতে অতি সমারোহে চড়ক পূজা হইত এবং সেই উপলক্ষে নানাপ্রকার সং ও মিছিল বাহির হইত। ম্যালেরিয়ার দারুণ প্রকোপে দেশের লোক সংখ্যা হ্রাস হইয়া যাওয়ায় এবং লোকের অবস্থার বৈগুণ্যে এখন সে সকল বন্ধ হইয়া গিয়াছে। কেশিয়াড়ী গ্রামের নিকটবৰ্ত্তা তলকেশরী পল্লীতে জগন্নাথ দেবের একটি পুরাতন উচ্চ মন্দির আছে। মন্দিরট ইষ্টক কাশীশ্বর ও কপিলেশ্বর মহাদেব !