পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২২
মেদিনীপুরের ইতিহাস।

পর বহুদিন পর্য্যন্ত উড়িষ্যার অন্তর্ভূত ছিল। এই সময় উড়িষ্যার পূর্ব্বোক্ত চারিটি সরকার হইতে মোট ৩১টি সরকার বিচ্ছিন্ন করিয়া লওয়া হয়। তন্মধ্যে সরকার গোয়ালপাড়া হইতে ৩টি, সরকার মালঝিটা হইতে ১৭টি, সরকার মুজকুরি হইতে ৪টি ও সরকার জলেশ্বর হইতে ৭টি গৃহীত হয়। শেষোক্ত ৩টি সরকারের ২৮টি মহাল লইয়া হিজলী ফৌজদারী গঠিত হইয়াছিল।

 হিজলী ও বালেশ্বর ফৌজদারী বঙ্গদেশের সহিত সংযুক্ত হইলে পর সুলতান সুজার নির্দ্ধারিত উড়িষ্যার পূর্ব্বোক্ত ৬টি সরকারের প্রত্যেকটি দুই অংশে বিভক্ত হইয়া পড়ে। যে অংশগুলি বাঙ্গালাদেশের অন্তর্ভূত হইয়াছিল, সেগুলি কিস‍্মৎ সরকার (যথা—সরকার জলেশ্বর কিস্‌মৎ, সরকার মুজকুরি কিস‍্মৎ প্রভৃতি) নামে পরিচিত হয়। (এই একই কারণে কোন কোন মহালেরও কিস‍্মৎ সিপুর, কিস‍্মৎ পটাশপুর প্রভৃতি নামও দৃষ্ট হইয়া থাকে)।

 ১৬৫৮ খৃষ্টাব্দে সুলতান সুজা সুবা বাঙ্গালারও রাজস্বের এক নূতন হিসাব প্রস্তুত করেন। উহাতে দেখা যায় যে, তিনি তোডরমল্লের সময়ের বাঙ্গালার পূর্ব্বোক্ত ১৯টি সরকারের সহিত হিজলী ও বন্দর বালেশ্বর ফৌজদারীর ছয়টি কিস‍্মৎ সরকার এবং নুতন গঠিত আরও নয়টি সরকার মিলিত করিয়া সুবা বাঙ্গালাকে ৩৪ সরকারে ও ১৩৫০ মহালে বিভক্ত করিয়াছিলেন।[১] ঐ সময় পুরাতন সরকারবিভাগের সীমারও কিছু কিছু পরিবর্ত্তন করা হইয়াছিল।

 রাজা তোডরমল্লের সময়ের সরকার মান্দারুণের অন্তর্গত এবং এই জেলার মধ্যস্থিত পূর্ব্বোক্ত চারিটি মহালের মধ্যে চিতুয়া মহাল নূতন বন্দোবস্তেও সরকার মান্দারুণের অন্তর্ভুতই থাকে। কিন্তু সাহাপুর


  1. Grant's Analysis pp. 182-183 Vol. II.