পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Jగ్రీగ్స్టీ মেদিনীপুরের ইতিহাস । নিৰ্ম্মিত ও প্রাচীন গঠন। উহাতে পুরীর অনুকরণে ত্রিমূৰ্ত্তি স্থাপিত এবং আকারেও সেগুলি প্রায় পুরীর শ্রীমূর্তির সমকক্ষ । জনশ্রুতি, এই স্থানের ঘোষবংশীয় জনৈক ধনশালী ব্যক্তি কর্তৃক দুই তিন শত বৎসর পূৰ্ব্বে ঐ মন্দিরটা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। তিনি সেই সময় একটি সুবৃহৎ পুষ্করিণীও খনন করিয়া দিয়াছিলেন ; তাহ অদ্যাবধি ঘোষ পুকুর’ নামে পরিচিত । কিন্তু দুঃখের বিষয় ঐ মহাত্মার পরিচয় সম্বন্ধে আর কিছু জানা যায় নাই। কেশিয়াড়ীর পার্শ্ববৰ্ত্তী গগনেশ্বর গ্রামে ঘোষ উপাধিধারী এক সন্ত্রান্ত কায়স্থ বংশের বাস আছে। কবি ও গায়ক চৌধুরী শিবনারায়ণ ঘোষ মহাশয় এই বংশে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। কেহ কেহ ঐ মন্দিরটা ঐ ঘোষ বংশেরই কোন পূৰ্ব্বপুরুষের কীৰ্ত্তি বলিয়া মনে করেন । ঐ মন্দিরের প্রার অৰ্দ্ধক্রোশ দূরে অরণ্য মধ্যে জগন্নাথ দেবের “গুণ্ডিচ বাড়ী” । উহা একবারেই জরাজীর্ণ হইয়া পড়িয়াছিল, প্রায় ত্রিশ চল্লিশ বৎসর হইল কাশীনাথ সাউ নামক জনৈক স্থানীয় মহাজন উহা মেরামত করিয়া দিয়া এবং উৎসবোপযোগী ইষ্টক নিৰ্ম্মিত অতি প্রশস্ত স্থান প্রস্তুত করিয়া দিয়া চিরস্মরণীয় হইয়া গিয়াছেন। রথের দিন হইতে পুনর্যাত্রা পর্য্যন্ত অষ্টাহ কাল সেই স্থানে একটি মেলা বসিয়া থাকে । - কেশিয়াড়ীর প্রায় তিন মাইল অস্তরে কুরুমবেড়া দুর্গ নামে প্রস্তর নিৰ্ম্মিত একটি জীর্ণ দুর্গ আছে। দুর্গটির বহিঃ পাশ্বের প্রাচীর এক্ষণে অনেকখানি মাটির মধ্যে বসিয়া গিয়াছে, যাহ। বাহিরে আছে তাহার উচ্চতা প্রায় দশ ফিট এবং প্রস্ত তিন ফিট। এই প্রাচীর গাত্রে দুর্গের অভ্যন্তরে আট ফিট প্রশস্ত জগনাথ দেবের মন্দির ও গুণ্ডিচ বাড়ী । কুরুমবেড়। দুর্গ।