পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

voye মেদিনীপুরের ইতিহাস। বংশের বিস্তারিত বিবরণও জমিদার বংশ শীর্ষক অধ্যায়ে আলোচিত হইবে। খঙরুই গড়ে বর্তমান রাজাদের পূৰ্ব্বে তৈলঙ্গ দেশীয় যে প্রাচীন রাজবংশ রাজত্ব করিতেন তাহাদের সময়ের একটি সতীকুণ্ড ঐ স্থানে দৃষ্ট হয়। প্রতি বৎসর বৈশাখ মাসে উহাতে বসুন্ধরা দেওয়া হইয়া থাকে। থগুরুই গড়ের মুরহৎ পুষ্করিণীটা বর্তমান রাজবংশের অন্ততম রাঙ্গ গঙ্গানারায়ণের সময় খোদিত হইয়াছিল । কাথি মহকুমার প্রাচীন কীৰ্ত্তিগুলির মধ্যে এগরা থানার অন্তর্গত হটনগর মহাদেবের মন্দিরটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। জনশ্রুতি, উৎকলাধিপতি মুকুন্যদেবের সময়ে উহা নিৰ্ম্মিত হয়। আবার কেহ কেহ বলেন, উৎকলাধিপতির সামস্ত স্থানীয় রাজার দ্বারা উহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। মন্দিয়টর গঠন-প্রণালী উড়িষ। প্রদেশের মন্দিরগুলির স্তায় এবং দেখিলেই উহাকে একটি প্রাচীন কীৰ্ত্তি বলিয়াই মনে হয় । মন্দিরটর কারুকার্য্যও মুনীর। বাঙ্গালা ও উড়িষ্যার নানাস্থানেয় প্রাচীন মহাদেব গুলির আবিষ্কার ও পূজা প্রচার সম্বন্ধে সচরাচর যে চিরপ্রচলিত কাহিনী শ্রত হওয়া যায়, এগরার হটনগর মহাদেষের প্রচার সম্বন্ধেও সেইরূপ কিম্বদন্তীই প্রচলিত আছে। য়াখাল গরুর পাল লইয়া প্রতিদিন মাঠে যায়, আর প্রতিদিনই একটি না একটি দুগ্ধবতী গাভী সবেগে জঙ্গলের মধ্যে কোথায় দৌড়াইয়া যায় ; কিছুকাঙ্গ পরে যখন ফিরিয়া আসে তখন তাহার স্তনে বিন্দুমাত্র দুগ্ধ থাকে না । নিত্য এইরূপ ঘটনা ঘটতে থাকায়, একদিন রাখাল গাষ্ঠীর পশ্চাদামুসরণ করির দেখে যে, গাভিটী নিবিড় অরণ্য মধ্যে একস্থানে উপস্থিত হইয়া দণ্ডায়মান হইলে মুহুর্তের মধ্যে তাহার স্তন হইতে অজস্রধারে ছদ্ধ নিঃসরণ মনোহরপুর ও খগুরুই গড় । এগরার হটনগর মহাদেবের মন্দির ।