পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । Фу> হইতেছে। দুষ্ক নিঃশেষিত হইলে গাভিট জঙ্গল হইতে বহির্গত হইয় পুনরায় গোপালের সহিত মিলিত হয়। রাখাল এই কথা গ্রামে গিয়া প্রচার করিলে ক্রমশঃ উহা দেশাধিপতি রাজার কর্ণগোচর হয়। অতঃপর ঐ স্তান হইতে মহাদেব আবিষ্কৃত হ’ন এবং ষোড়শোপচারে র্তাহার পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এই কাহিনী হইতে অনুমিত হয় যে,প্রথমে এ মহাদেবগুলিকে নিয়শ্রেণীর লোকে গোপনে জঙ্গলের মধ্যে পূজা করিত, তাহার পর উহা ধনীদিগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই মন্দিরটির পশ্চাতে ‘কুণ্ড’নামক একটি ছোট পুষ্করিণী আছে। শিবচতুর্দশীর রাত্রে পুণ্যলাভাশায় অনেকে ঐ পুষ্করিণীতে স্নান করিয়া থাকে। সে সময় ৭৮ দিন ধরিয়া এগরায় একটি মেলা বসে । হটনগরের মন্দিরের অনতিদূরে স্বচ্ছ দর্পণখণ্ডের ন্যায় কৃষ্ণসাগর নামক একটি পুষ্করিণী আছে। কেহ কেহ বলেন, পটাশপুর থানার অন্তর্গত ধুমুৰ্দ্ধাগড়ের কায়স্থ জমিদার চৌধুরী কৃষ্ণ চন্দ্র মিত্র প্রায় সাৰ্দ্ধ দুই শত বৎসর পূৰ্ব্বে উহা খনন করিয়া দিয়াছিলেন। আবার কেহ কেহ বলেন যে, এগরাতে যে সমর জয়েন্ট, ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্য্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় সেই সময়েই এই পুষ্করিণীটাও খোদিত হইয়াছিল। কৃষ্ণ সাগরের উত্তর পশ্চিম কোণে এক্ষণে যেখানে ডিষ্ট্রক্ট কৃষ্ণসাগর ও নেগুয়ার বোর্ডের ডাক বাংলোটী নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, প্রথমে ঐ कांइfद्र ! স্থানেই কাথি মহকুমার কার্য্যালয় প্রতিষ্ঠিত ছিল এবং উহা নেগুয়ার কাছারী নামে অভিহিত হইত। সাহিত্য সম্রাটু বঙ্কিমচন্দ্র যখন কাথি মহকুমার সবডিভিজদ্যাল অফিসার হইয়া আসিয়াছিলেন তখন এই নেওয়াতেই কাছারী ছিল। পরে মহকুমার কার্য্যালয় ঐ স্থান হইতে কঁথিত্বে স্থানান্তরিত করা হয়। পুরাতম কাছারির বুনিয়াদ অদ্যাপি স্থানে স্থানে দৃষ্ট হয়।