পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నిyశ్రీ মেদিনীপুরের ইতিহাস । জষ্ঠ এ প্রদেশে আসিত সে গুলি ঐ বৃক্ষকাণ্ডেই বাধা হইত। কিন্তু এক্ষণে ঐ স্থানে কোন নদী বা খাল নাই। তবে বাহিরীর চতুঃপার্শ্ববৰ্ত্তী স্থান সমূহের অবস্থা পৰ্য্যালোচনা করিলে স্পষ্টই অনুমিত হয় যে, এক সময় ঐ স্থান কোন নদী সৈকতে অবস্থিত ছিল। বাহিরীর নিকটবৰ্ত্তী লাউজ, কুমিরদ, ঝাপড়দ, অমরদ, মারিসদ প্রভৃতি 'দা' বা ‘দহ’ শব্দান্ত স্থান গুলির নাম দেখিয়া মনে হয়, ঐ নদীটি ঐ সকল স্থানের নিকট দি প্রবাহিত হইয় হগোড়া ( দহের মুখ ) নামক স্থানের নিকট রগুলপুর নদীর সহিত মিলিত হইয়াছিল । রগুলপুর নদীর পূর্ব পাশ্বে খাজুরী থানা । খাজুরী থানার পুলিশ ষ্টেশন পূৰ্ব্বে খাজুরী গ্রামেই ছিল এক্ষণে উহাকে জমৃক গ্রামে উঠাইয়৷ আনা হইরাছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে এবং উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমাংশে খাজুরী হুগলী নদীর উপরে একটি বিশিষ্ট বন্দর ছিল। কলিকাতার শ্ৰীবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাজুরীও ধীরে ধীরে একটি বিশেষ গণনীয় স্থানে পরিণত হইয়াছিল। বড় বড় বাণিজ্য-পোত সমূহ আর কলিকাতা পর্য্যস্ত যাইত না, খাজুরী বন্দরেই মাল বোঝাই ও নামাই করিত। ঐ স্থান হইতে কলিকাতা পৰ্য্যস্ত সুলুপের দ্বারা মাল আন-লওয়া করা হইত। এই কারণে যাত্রী ও মহাজন দিগের বাসোপযোগী সুবৃহৎ অট্টালিকা সমূহ নিৰ্ম্মিত হইয়া অল্প দিনের মধ্যেই খাজুরীকে একটি জনাকীর্ণ জনপদে পরিণত করিয়াছিল । t ঐ সময় বহু ইউরোপীয়ান খাজুরীতে আলিয়া ব্যবসা-বাণিজ্যাদি উপলক্ষে যাস করায় একটি স্থান সাহেবনগর’ নামে অভিহিত হইয়াছিল। সাহেব নগর সুন্দর সুন্দর স্ট্রালিকা ও উষ্ঠানে শোভিত হইয়াছিল। বায়ু পরিবর্তনের জন্তও অনেক সন্ত্রান্ত ইংল্পাঞ্জ ও বাঙ্গালী এই প্রদেশে খাজুরী বন্দর।