পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఖ్సిe মেদিনীপুরের ইতিহাস। তাহার দুই সহোদর ভারতবর্ষে কাৰ্যোপলক্ষে বাস করিতেন। ভগিনী তাহাদিগকে দেখিতে আসিতেছিলেন । দুই ভ্রাতাই তাহাদের একমাত্র কনিষ্ঠ ভগিনীকে সাদরে লইয়া যাইবার জন্য খাজুরী বন্দরে জাসিয়াছিলেন। কিন্তু তাহদের দুর্ভাগ্য—র্তাহাদিগকে আর সেই চির প্রফুল্লতাময়ী প্রাণাধিক ভগিনীকে অত্যর্থনা করিয়া লইয়া যাইতে হয় নাই, তৎপরিবর্তে জাহাজের অধ্যক্ষ তাহদের কোলে সেই বালিকাটীর প্রাণহীন দেহ তুলিয়া দিয়াছিলেন। পথেই সারলটর মৃত্যু হইয়াছিল। ভ্রাতাম্বর ভগিনীর স্মৃতি-স্তন্তে সেই কথা করুণ তাধায় লিখিয়া গিয়াছেন। আর একটি পতিহীন নারী তাহার একমাত্র পুত্রকে তাহার নষ্ট স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করিবার জন্য খাজুরীতে পাঠাইয়াছিলেন। জননীর বড় আশা ছিল, রুগ্ন পুত্র নষ্ট-স্বাস্থ্য উদ্ধার করিয়া সুস্থ শরীরে মায়ের কোলে ফিরিয়া যাইবে । কিন্তু বিধাতা সে সাধে বাদ সাধিয়াছিলেন । ঐ সমাধি-স্তম্ভের স্মৃতিলিপিট পাঠ করিলে মনে হয়, জননী বুকের রক্ত দিয়া সেই কাহিনী লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। দীনাজপুরের ভূতপূৰ্ব্ব ম্যাজিষ্ট্রেট এড ওয়ার্ড ম্যাক্সওয়েল সাহেব তাহার পত্নীর সমাধি গাত্রে যে কবিতাটা লিখিয়া রাখিয়াছেন তাহার ভাষাও মৰ্ম্মস্পশাঁ । প্রকৃতি দেবীর স্নেহময় কোলে খাজুরীর নীরব সমাধি ক্ষেত্রটা হৃদরে শাস্তির ভাব আনয়ন করে। গম্ভীর নির্জনতা এখানে দেদীপ্যমান। জন কোলাহল এখানে নীরব। পাছে মৃতব্যক্তিদিগের শাস্তির নিদ্রা ভঙ্গ হয়, সেজন্ত জড় প্রকৃতিও যেন ভীত ও চকিত। সমাধি লিপিগুলির এক একটির ভাষা বড়ই করুণ। উহা কাণের ভিতর দিয়া মরমে পশিয়া মন প্রাণ আকুল করে। পিতা মাতা-পুত্র কস্তার, পুত্র কন্যা— পিতা মাতার, পতি-পত্নীর, পত্নী-পতির, ভ্রাতা-ভগিনীর, ভগিনী—