পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७:»रे মেদিনীপুরের ইতিহাস । ভস্ম ৰুকে করিয়া হিজলী এখনও স্বদেশ-বিদেশের পরিব্রাঞ্জকগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া থাকে। হিজলীর এখন আর সে কালের শ্রী সৌভাগ্যের কিছুই নাই। উহার পাশ্বে মেহদীনগর নামক যে গ্রামখানি আছে এক সময়ে উহা বহু জনাকীর্ণ শত অট্টালিক] শোভিত এক স্বরম্য নগর ছিল। এক্ষণে উহা বন জঙ্গলে পূর্ণ নানাপ্রকার হিংস্র জন্তুর আবাস ভূমিতে পরিণত হইয়াছে। বঙ্গোপসাগরের জল-প্লাবনে হিজলী ও মেহদীনগরের অধিকাংশই সাগর গর্ভে স্থান প্রাপ্ত হইয়াছে । নবাববংশের প্রায় সকল কীৰ্ত্তিই বঙ্গোপসাগর গ্রাস করিয়াছেন । এখন কেবল ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত কতকগুলি ইষ্টকর্তৃপ আর একটি জীর্ণ মসজিদ পূৰ্ব্ব গৌরবের কথঞ্চিৎ পরিচয় দিতেছে। রগুলপুর নদী যেখানে বঙ্গোপসাগরের সহিত মিলিত হইয়াছে তাহার নিকটেই এই মসজিদটি অবস্থিত। উহার দৈর্ঘ্য প্রস্ত প্রায় ৫০x২৫ ফিট । উপরে তিনটি গম্বুজ আছে । মসজিদটী স্বউচ্চ । বঙ্গোপসাগর দিয়া কলিকাত যাতায়াতের পথে বহুদূর হইতে এই মসজিদট দেখা যায়। এইরূপ কিম্বদন্তী যে, ১৮৬৪ খৃষ্টাব্যের জল প্লাবনে যে সময় এ প্রদেশের সমস্ত ভূমিই প্রায় ডুবিয়া গিয়াছিল তখনও ইহ নিজ স্বতন্ত্রত রক্ষা করিয়া অনেক লোককে আশ্রয় দাম করিয়াছিল। এই মসজিদটির সম্মুথে ও পার্থে তাজ খাঁ মসৃন আলীর ও র্তাহার ভ্রাতা সিকান্দরের এবং তাহাজের স্ত্রী পুত্র প্রভৃতি ঐ বংশীয় কয়েক জনের সমাধি আছে। মসজিদটীর প্রাঙ্গণে একটি ক্ষুদ্র পুষ্করিণী আছে। লবণ সমুদ্রের পাশ্বে থাকিলেও উহার জল অতিশয় মুম্বাছ ও নিৰ্ম্মল । পুষ্করিণীতে নামিবার সোপান ও তল পৰ্য্যন্ত চারিদিকই প্রস্তর দিয়া বাধীন ছিল। কিন্তু এক্ষণে উহার গান্ত্রে ও চতুষ্পার্থে বড় বড় গাছ জন্মাইয়া উহাকে ধ্বংসের পথে জানিয়াছে।