পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిసెty মেদিনীপুরের ইতিহাস। বাহিরীতে পাওয়া গিয়াছিল। বাহির হইতে আনয়ন করিয়া উহাকে ঐ স্থানে সাজাইয়া রাখা হইয়াছে। মূৰ্ত্তিটার দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ ফিট । উহার দুই বাহু একবারেই নাই। নাসিক, চিবুকের নিয়াংশ ও উভয় পাশ্বস্থ মূৰ্ত্তিচতুষ্ঠয়ের মুখগুলি ভগ্ন অবস্থায় আছে। এতদ্ভিন্ন মূৰ্ত্তিটর অন্যান্য অংশ, বেদী ও বেদীর উপর চিত্রিত মূৰ্ত্তি দুইটি ও অন্যান্ত চিত্রগুলি মুম্পষ্ট অবস্থায় আছে। কত শত বৎসর হইল মূৰ্ত্তিটা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে—অঙ্গে ছাতা পড়িয়াছে, রঙ জলিয়া গিয়াছে, অঙ্গহীন হইয়াছে, তথাপি এখনও উহার শিল্পনৈপুণ্য ও গঠন প্রণালী দেখিলে আশ্চর্যান্বিত হইতে হয়। উড়িষ্যার খণ্ডগিরির উপরে এইরূপ মনোমুগ্ধকর প্রস্তরগঠিত যুক্তিরাশি দৃষ্ট হয়। বঙ্কিমচন্দ্র ঐ মূৰ্ত্তিগুলিকে লক্ষ করিয়াই তাহার সীতারাম উপন্যাসে লিথিয়াছেন—“উহাদের দুই চারিট কলিকাতার বড় বড় ইমারতের ভিতর থাকিলে কলিকাতার শোভা হইত।” আমরাও এই গ্রন্থের উপসংহারে সেই মহাপুরুষের বাক্যের প্রতিধ্বনি করিয়া বলি—“হায়! এখন কিনা হিন্দুকে ইণ্ডট্ৰিয়ালু স্কুলে পুতুল গড়া শিখিতে হয়! আমরা কুমারসম্ভব ছাড়িয়। সুইমূবর্ণ পড়ি, গীতা ছাড়িয়া মিল পড়ি, আর উড়িষ্যার প্রস্তর-শিল্প ছাড়িয়া সাহেবদের চীনের পুতুল ই৷ করিয়া দেখি। আরও কি কপালে আছে, বলিতে পারি না।” সমাপ্ত । কঁথির প্রস্তুর-মূৰ্ত্তি।