পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هوا কথাটা, এক অদ্ভুত রকমে ছাপা হইয়া গিয়াছে। পাঠকগণ দয়া করিয়া দাসত্ব শৃঙ্খলে বদ্ধ লেখকের এই ক্রট মার্জন করিলে বাধিত হইব । এই গ্রন্থ রচনায় মেদিনীপুর নাড়াজোলাধিপতির সুযোগ্য ম্যানেজার আমার অগ্রজ প্রতিম ঐযুক্ত সতীশচন্দ্র বস্থর নিকট হইতে অামি নানাপ্রকারে সাহায্য প্রাপ্ত হইয়াছি। কালিকা প্রেসের স্বত্বাধিকারী শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী মহাশয় অল্প সময়ের মধ্যে পুস্তকখানি মুদ্রিত করিয়া দিয়া আমাকে উপকৃত করিয়াছেন। গ্রন্থমধ্যে ষে সমস্ত চিত্র প্রকাশিত হইয়াছে, সে গুলি আমার সোদর প্রতিম স্বহৃদ স্বপ্রসিদ্ধ চিত্রকর মেদিনীপুরের স্বনামখ্যাত ঐযুক্ত হেমচন্দ্র দাস কাননগো আমার জন্য বিশেষ ক্ষতি ও পরিশ্রম স্বীকার করিয়া তীয় পুত্র শ্ৰীমান মানববন্ধু ও ছাত্র শ্ৰীমান মুধাংশুভূষণ ঘোষ ও ক্রমান শম্ভুচরণ সাহার সাহায্যে সংগ্রহ ও প্রস্তুত করিয়া দিয়াছেন। তাহার ঋণ অপরিশোধা । ভারতীর ভূতপূৰ্ব্ব সম্পাদিক মাতৃস্বরূপিণী শ্ৰীমতী স্বর্ণকুমারী দেবী আমাকে দুইখানি রক ব্যবহার করিতে দিয়া অকুগৃহীত করিয়াছেন। গ্রন্থকারের রচনা তাহার অম্বুজ শ্ৰীমান যতীশচন্দ্র, শ্ৰীমান্ জগদীশ চন্দ্র, শ্ৰীমান জগৎচন্দ্র, শ্ৰীমান জ্যোৎস্নাকুমার ও ক্রমান যামিনীকুমারের সাহায্যে সমাপ্ত হইয়াছে। তাহাদের অনুপম প্রিয়স্থতি যে ইহার অঙ্গে এরূপভাবে জড়িত হইয়া থাকিল তাহা আমার অস্তরে চিরকাল অঙ্কিত থাকিবে । - পরিশেষে, মেদিনীপুরের ইতিহাস লিখিবার কোন আবশ্বকতা জাছে কি-না এবং ইতিহাস লিখিবার উপযুক্ত যোগ্যতা না থাক। সত্বেও কেন ষে আমি এই দুরূহ কার্ধ্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছি, সে সম্বন্ধে দুটা কথা বলিয়া অামার বক্তব্য শেষ করিব । মনস্বী বঙ্কিমচন্দ্র বাঙ্গালার ইতিহাস সম্বন্ধে বঙ্গদর্শনে লিখিয়াছিলেন—“লাহেবেরা যদি পার্থী