পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভৌমিক বিবরণ।
৪৫

মাইলমধ্যে বৃত্তাকারে অবস্থিত জনপদগুলি অতি নিম্নভূমি বলিয়া মনে হইত। খড়্গপুরের এইরূপ স্বাভাবিকী অবস্থা অবলোকন করিয়া বেঙ্গল-নাগপুর রেলওয়ে কোম্পানী উহার উপরিভাগে তাঁহাদের রেলপথের সংযোগস্থল মনোনীত করিয়াছেন। দমদমা ও তৎসন্নিহিত পাঁচ ছয়খানি গ্রাম-সংবলিত প্রায় চৌদ্দহাজার বিঘা ভূমির উপর বৃহদায়তন খড়্গপুর ষ্টেশন ও অন্যান্য কার্য্যালয়াদি সমন্বিত খড়গপুর সহর প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। নানাপ্রকার সুদৃশ্য সুবৃহৎ অট্টালিকা, সুরুচি-সম্পন্ন মনোহর উদ্যান, তরুরাজি বিরাজিত সুপ্রশস্ত পথ, বৈদ্যুতিক আলোক, জলের কল প্রভৃতির দ্বারা সুশোতিত হইয়া খড়্গপুর এক্ষণে একটি সুন্দর নগরে পরিণত হইয়াছে। সাহেব, বাঙ্গলী, পাঞ্জাবী, মাদ্রাজী, পার্শী, শিখ, নাগপুরী, মারহাট্টি, হিন্দুস্থানী, উড়িয়া, বেহারী, আসামী প্রভৃতি নানাদেশীয় নানাজাতিয় নানাধর্ম্মাবলম্বী জনগণদ্বারা সমাকীর্ণ হওয়ায় ইহার সমধিক শ্রীবৃদ্ধি হইয়াছে। খড়্গপুরের জল-বায়ুও বিশেষ স্বাস্থ্যকর। খড়্গপুর বেঙ্গল-নাগপুর রেলওয়ের প্রধান ষ্ট্রেশন। রেলওয়ে-কোম্পানী এইখানে প্রায় দুই শত বিঘা জমীর উপরে একটি বৈদ্যুতিক গৃহ-বিশিষ্ট প্রকাণ্ড কারখানা স্থাপন করিয়াছেন। ঐ কারখানায় কোম্পানীর যাবতীয় কার্য্যই নির্ব্বাহ হইয়া থাকে। খড়্গপুরে কোম্পানীর একটি প্রথম শ্রেণীর দাতব্য চিকিৎসালয় ও দুইটি সুপরিচালিত ইংরাজী বিদ্যালয় আছে।

সদর মহকুমার কেশপুর থানার অন্তর্গত আনন্দপুর এবং নারায়ণগড় থানার অন্তর্গত কেশিয়াড়ি ও গগনেশ্বর গ্রাম এক সময় তসর-কাপড়ের আনন্দপুর ও কেশিয়াড়ী।জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। শাদা, নীল, পীত, বেগুনে, ময়ুরকণ্ঠী প্রভৃতি নানা রঙ্গের নানাপ্রকার ধুতি, শাড়ী এই সকল স্থানে প্রস্তুত হইয়া দেশ বিদেশে